চট্টগ্রাম, অক্টোবর ০৭
- ইলিশ ধরা বন্ধের প্রথম রাতে চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূল থেকে সাড়ে ২৮ হাজার কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুতুবদিয়া ও আনোয়ারা সংলগ্ন গভীর সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপকূলরক্ষী বাহিনী (কোস্টগার্ড) ও মৎস্য অধিদপ্তর এসব ইলিশ জব্দ করে। এ সময় ১২টি মাছ ধরার নৌকাও আটক করা হয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আগের দিন বরিশাল থেকে প্রায় ৪০ মণ ইলিশ আটক করে এতিম ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ইলিশ রক্ষায় বৃহস্পতিবার থেকে ১১ দিনের জন্য সারাদেশে ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কামান্ডার জসিম উজ জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কুতুবদিয়া চ্যানেল এবং আনোয়ারা সংলগ্ন সমুদ্র থেকে ওই সাড়ে ২৮ হাজার কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। এর মধ্যে কিছু এতিম খানায় দেওয়া হয়েছে। বাকি মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
তিনি জানান, রহমতপুর ও বাংলাবাজার ঘাট এলাকা থেকে ১০টি বিন্দি জাল এবং কক্সবাজারের কলাতলি ও হিমছড়ি এলাকা থেকে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক করা হয়েছে। এসব জালের দাম আনুমানিক সাত লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এদিকে শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো নগরীর ষোলশহরে কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালায় মৎস্য অধিদপ্তর। এ সময় ইলিশ বিক্রির অপরাধে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে একই অপরাধে চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা মৎস কর্মকর্তা প্রভাতী দে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রজনন মৌসুম হিসাব করে ১১ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ ও মজুদও নিষিদ্ধ।
এ আদেশ অমান্য করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং অভিযুক্তদের এক মাস থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে বলে জানান তিনি।
তবে দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে।
Saturday, October 8, 2011
চীনে গাড়ি-বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩৫
বেইজিং, অক্টোবর ০৮
- চীনের উত্তরাঞ্চলে একটি মহাসড়কে প্রাইভেট কার ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে।
নিহতদের অধিকাংশই ছাত্র বলে জানা গেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া জানায়, শ্যানডং প্রদেশে থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার শুক্রবার বিকেলে বেইজিংয়ের কাছে তিয়ানজিন শহরে একটি বাসকে সজোরে আঘাত করলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সংঘর্ষে বাসটি উল্টে যায়। এসময় বাসে ৫৫ জন যাত্রী ছিল। এদের অধিকাংশই কলেজ ছাত্র। সাত দিনের জাতীয় ছুটি শেষে তারা কলেজে ফিরছিল।
দুর্ঘটনার পর তিয়ানজিংয়ের জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত সাতদিনের জাতীয় ছুটিতে তিয়ানজিংয়ের ঘটনাসহ তিনটি বড় সড়ক দুর্ঘটনায় চীনে ৫৬ জন নিহত হয়।
- চীনের উত্তরাঞ্চলে একটি মহাসড়কে প্রাইভেট কার ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে।
নিহতদের অধিকাংশই ছাত্র বলে জানা গেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া জানায়, শ্যানডং প্রদেশে থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার শুক্রবার বিকেলে বেইজিংয়ের কাছে তিয়ানজিন শহরে একটি বাসকে সজোরে আঘাত করলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সংঘর্ষে বাসটি উল্টে যায়। এসময় বাসে ৫৫ জন যাত্রী ছিল। এদের অধিকাংশই কলেজ ছাত্র। সাত দিনের জাতীয় ছুটি শেষে তারা কলেজে ফিরছিল।
দুর্ঘটনার পর তিয়ানজিংয়ের জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত সাতদিনের জাতীয় ছুটিতে তিয়ানজিংয়ের ঘটনাসহ তিনটি বড় সড়ক দুর্ঘটনায় চীনে ৫৬ জন নিহত হয়।
জীবন্ত কবর দেওয়া দু'দিনের শিশু জীবিত উদ্ধার
ঢাকা, অক্টোবর ০৮
- দু'দিনের এক শিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়ার পর তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বোধনা গ্রামে। এক কৃষকের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া শিশুটি এখন সুস্থ্য আছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কৃষক যখন তার ক্ষেতে কাজ করছিলেন, তখন হঠাৎ করেই শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। শব্দের উৎস অনুসন্ধান করে তিনি দেখতে পান একটি ছোট শিশুর মাথা মাটি থেকে বের হয়ে আছে। শিশুটিকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে বুঝতে পারেন তিনি। শিশুটি কোনভাবে তার মাথা মাটি ফুঁড়ে বের করতে পেরেছিল।
উদ্ধার করার পর শিশুটিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা, উদ্ধার করার সময় শিশুটি দু'দিন বয়সী ছিলো।
মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী শ্রীমতি অর্চনা চিতনিস হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান। তিনি শিশুটিকে ঠিকমতো পরিচর্যা করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। শিশুটি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে।
শিশুটির বাবা-মাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে খুঁজে পাওয়া গেলেও শিশুটিকে আর তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
২০০৯ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মধ্যপ্রদেশে অবৈধ গর্ভপাত এবং কন্যাশিশু হত্যার ঘটনা দেশটির সর্বোচ্চ।
- দু'দিনের এক শিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়ার পর তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বোধনা গ্রামে। এক কৃষকের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া শিশুটি এখন সুস্থ্য আছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কৃষক যখন তার ক্ষেতে কাজ করছিলেন, তখন হঠাৎ করেই শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। শব্দের উৎস অনুসন্ধান করে তিনি দেখতে পান একটি ছোট শিশুর মাথা মাটি থেকে বের হয়ে আছে। শিশুটিকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে বুঝতে পারেন তিনি। শিশুটি কোনভাবে তার মাথা মাটি ফুঁড়ে বের করতে পেরেছিল।
উদ্ধার করার পর শিশুটিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা, উদ্ধার করার সময় শিশুটি দু'দিন বয়সী ছিলো।
মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী শ্রীমতি অর্চনা চিতনিস হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান। তিনি শিশুটিকে ঠিকমতো পরিচর্যা করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। শিশুটি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে।
শিশুটির বাবা-মাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে খুঁজে পাওয়া গেলেও শিশুটিকে আর তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
২০০৯ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মধ্যপ্রদেশে অবৈধ গর্ভপাত এবং কন্যাশিশু হত্যার ঘটনা দেশটির সর্বোচ্চ।
জয় আমাদেরই, দাবি তালেবানের
কাবুল, অক্টোবর ৮
- আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় নিজেদের বলেই দাবি করেছে তালেবান। পাশাপাশি বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে না যাওয়া পর্যন্ত নিজেদের লড়াই অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও করেছে এই কট্টর ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠীটি।
শুক্রবার আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা অভিযানের ১০ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা একথা জানায়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে (বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র) সন্ত্রাসী হামলার পর সেবছরের ৭ অক্টোবর মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে।
টুইন টাওয়ার হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদাকে দায়ী করে থাকে। আফগানিস্তানে তৎকালীন তালেবান সরকার আল কায়েদাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র এই সেনা অভিযান শুরু করে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ (জুনিয়র)।
ইংরেজি ভাষায় দেওয়া ওই বিবৃতিতে তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, "এ দেশে চিরকাল থাকতে আগ্রহীদের নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনায় বাধ্য করতে অস্ত্র ও সরঞ্জামের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও গত এক দশক ধরে তালেবান তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।"
ই-মেইলে পাঠানো বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গর্বের সঙ্গে আফগান জনগণ ১০ বছর ধরে জিহাদ চালানোর পর আমাদের আবারো অবশ্যই এটা বলা উচিত যে, জয় আমাদের সঙ্গেই রয়েছে।"
"অসততা, মতভেদ, ভন্ডামি ও অন্যান্য খারাপ বিষয় এড়িয়ে আমরা যদি আল্লাহ'র পথে থাকি তাহলে আমাদের শত্র"দের সম্পূর্ণভাবে এ দেশ ত্যাগে বাধ্য করা যাবে।"
আফগানিস্তানে লড়াইরত ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, এ দিনটির স্মরণে কোনো কিছু করার পরিকল্পনা তাদের নেই।
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও তাকে সমর্থনকারী পশ্চিমা দেশগুলো ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশি সেনাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো অবশ্য আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য তহবিল ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে।
প্রথমদিকে দেশটিতে বিদেশি সেনাদেরকে স্বাগত জানানো হলেও তাদের উপস্থিতিতে বেশ কিছু হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
দীর্ঘ এই লড়াইয়ে ১১ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও আরো কয়েক হাজার জনগণ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে দেশটিতে বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে খানিক জনমতও গড়ে উঠেছে।
অবশ্য স¤প্রতি একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, বিদেশি বাহিনী চলে যাওয়ার পর তালেবান শাসন ফিরে আসতে পারে বলে আফগান নারীরা আশঙ্কায় ভুগছে।
- আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় নিজেদের বলেই দাবি করেছে তালেবান। পাশাপাশি বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে না যাওয়া পর্যন্ত নিজেদের লড়াই অব্যাহত রাখার অঙ্গীকারও করেছে এই কট্টর ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠীটি।
শুক্রবার আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা অভিযানের ১০ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা একথা জানায়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে (বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র) সন্ত্রাসী হামলার পর সেবছরের ৭ অক্টোবর মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে।
টুইন টাওয়ার হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদাকে দায়ী করে থাকে। আফগানিস্তানে তৎকালীন তালেবান সরকার আল কায়েদাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র এই সেনা অভিযান শুরু করে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ (জুনিয়র)।
ইংরেজি ভাষায় দেওয়া ওই বিবৃতিতে তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, "এ দেশে চিরকাল থাকতে আগ্রহীদের নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনায় বাধ্য করতে অস্ত্র ও সরঞ্জামের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও গত এক দশক ধরে তালেবান তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।"
ই-মেইলে পাঠানো বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গর্বের সঙ্গে আফগান জনগণ ১০ বছর ধরে জিহাদ চালানোর পর আমাদের আবারো অবশ্যই এটা বলা উচিত যে, জয় আমাদের সঙ্গেই রয়েছে।"
"অসততা, মতভেদ, ভন্ডামি ও অন্যান্য খারাপ বিষয় এড়িয়ে আমরা যদি আল্লাহ'র পথে থাকি তাহলে আমাদের শত্র"দের সম্পূর্ণভাবে এ দেশ ত্যাগে বাধ্য করা যাবে।"
আফগানিস্তানে লড়াইরত ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, এ দিনটির স্মরণে কোনো কিছু করার পরিকল্পনা তাদের নেই।
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও তাকে সমর্থনকারী পশ্চিমা দেশগুলো ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশি সেনাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো অবশ্য আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য তহবিল ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে।
প্রথমদিকে দেশটিতে বিদেশি সেনাদেরকে স্বাগত জানানো হলেও তাদের উপস্থিতিতে বেশ কিছু হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
দীর্ঘ এই লড়াইয়ে ১১ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও আরো কয়েক হাজার জনগণ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে দেশটিতে বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে খানিক জনমতও গড়ে উঠেছে।
অবশ্য স¤প্রতি একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, বিদেশি বাহিনী চলে যাওয়ার পর তালেবান শাসন ফিরে আসতে পারে বলে আফগান নারীরা আশঙ্কায় ভুগছে।
সৌদি আরবে ৮ বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ
ঢাকা, অক্টোবর ০8- এক মিশরীয়কে হত্যার সাজা হিসেবে সৌদি আরবে আট বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ হয়েছে।
রিয়াদে শুক্রবার প্রকাশ্যেই তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয় বলে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, তারা হলেন- মামুন আবদুল মেনন, ফারুক জামাল, সুমন মিয়া, মোহাম্মদ সুমন, শফিক আল-ইসলাম, মাসুদ শামসুল হক, আবু হুসেইন আহমেদ এবং মতিয়ার আর রহমান। এরা সবাই শ্রমিক।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ২০০৭ সালের এপ্রিলে একটি গুদামে ডাকাতি এবং ওই গুদামের মিশরীয় নিরাপত্তাকর্মী হুসেইন সাইদ মোহাম্মেদ আবদুল খালেককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলো।
একই ঘটনায় আরো তিন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কট্টর ইসলামী দেশ সৌদি আরবে এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড সাধারণত প্রকাশ্যেই কার্যকর হয়। তবে আট জনের একসঙ্গে শিরশ্ছেদ ঘটনা অস্বাভাবিক বলে মনে করছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার উপ-পরিচালক হাসিবা হাজ শারাউই বলেন, "সৌদি আরবের বিচার প্রক্রিয়া মোটেও আন্তর্জাতিক মানের নয়। যেখানে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে একটি ধারা তৈরি হচ্ছে, সেখানে সৌদি কর্তৃপক্ষ শিরশ্চেদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।"
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, আট বাংলাদেশিসহ এ বছর এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, যা গত বছরের দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ জনই বিদেশি।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বেশিরভাগ বিদেশিই সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তাদের বেশির ভাগের পক্ষে কোনো আইনজীবী থাকে না। তারা আরবিতে আদালতের কার্যক্রমও বুঝতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও তাদের জানানো হয় না। খুব কম সময়ই তারা আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পান।
সৌদি আরবের দুই কোটি ৭০ লাখ জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশই বিদেশি, বিশেষ করে এশিয়ার।
রিয়াদে শুক্রবার প্রকাশ্যেই তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয় বলে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, তারা হলেন- মামুন আবদুল মেনন, ফারুক জামাল, সুমন মিয়া, মোহাম্মদ সুমন, শফিক আল-ইসলাম, মাসুদ শামসুল হক, আবু হুসেইন আহমেদ এবং মতিয়ার আর রহমান। এরা সবাই শ্রমিক।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ২০০৭ সালের এপ্রিলে একটি গুদামে ডাকাতি এবং ওই গুদামের মিশরীয় নিরাপত্তাকর্মী হুসেইন সাইদ মোহাম্মেদ আবদুল খালেককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলো।
একই ঘটনায় আরো তিন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কট্টর ইসলামী দেশ সৌদি আরবে এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড সাধারণত প্রকাশ্যেই কার্যকর হয়। তবে আট জনের একসঙ্গে শিরশ্ছেদ ঘটনা অস্বাভাবিক বলে মনে করছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার উপ-পরিচালক হাসিবা হাজ শারাউই বলেন, "সৌদি আরবের বিচার প্রক্রিয়া মোটেও আন্তর্জাতিক মানের নয়। যেখানে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে একটি ধারা তৈরি হচ্ছে, সেখানে সৌদি কর্তৃপক্ষ শিরশ্চেদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।"
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, আট বাংলাদেশিসহ এ বছর এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, যা গত বছরের দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ জনই বিদেশি।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বেশিরভাগ বিদেশিই সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তাদের বেশির ভাগের পক্ষে কোনো আইনজীবী থাকে না। তারা আরবিতে আদালতের কার্যক্রমও বুঝতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও তাদের জানানো হয় না। খুব কম সময়ই তারা আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পান।
সৌদি আরবের দুই কোটি ৭০ লাখ জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশই বিদেশি, বিশেষ করে এশিয়ার।
'প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে আন্দোলন'
ঢাকা, অক্টোবর ০৮
- প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)।
শনিবার সেগুনবাগিচার বীরোত্তম খাজা নাজিমুদ্দিন মিলনায়তনে দলটির সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, "প্রচলিত আইনের মধ্যেই অন্যায় ও অসঙ্গত প্রচার-প্রচারণা নিয়ন্ত্রণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে তাই নতুন নিয়ন্ত্রণমূলক আইনের কোনোই প্রয়োজন নেই।
"প্রস্তাবিত নীতিমালায় বলা হয়েছে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। এ ধরনের সম্প্রচার নীতি দেশের রাজনীতি বিকাশের অন্তরায়।"
"আবার বলা হচ্ছে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া যাবে না। এই যে 'বিভ্রান্তিকর তথ্য' এটা নির্ধারণ করবে কে?"প্রশ্ন রাখেন তিনি।
গণমাধ্যমের জন্য একটি সম্প্রচার নীতিমালা স¤প্রতি তৈরি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিতে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া আনলাইনে প্রকাশের সুপারিশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্র্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বও নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও অনলাইনে সবার মতামত নিয়েই এটি চূড়ান্ত করা হবে।
আপাতত কিছুদিনের জন্য সরকার নীতিমালা প্রণয়নের কাজ স্থগিত করলেও পুনরায় তা চালু করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে- এ কথা জানিয়ে কোরেশী বলেন, "এটা হলে আমরা সরাসরি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবো।"
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রশ্নে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অতীত ভূমিকা গৌরবোজ্জল নয় মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, "এক্ষেত্রে ১৯৭৪ সালে নিউজপ্রিন্ট কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স ও ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার সময় কয়েকটি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ছাড়া দেশের সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি স্মরণ করা যেতে পারে।"
জনগণ ও জনমতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংবাদপ্রত্রের স্বাধীনতা খর্ব হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
- প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)।
শনিবার সেগুনবাগিচার বীরোত্তম খাজা নাজিমুদ্দিন মিলনায়তনে দলটির সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, "প্রচলিত আইনের মধ্যেই অন্যায় ও অসঙ্গত প্রচার-প্রচারণা নিয়ন্ত্রণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে তাই নতুন নিয়ন্ত্রণমূলক আইনের কোনোই প্রয়োজন নেই।
"প্রস্তাবিত নীতিমালায় বলা হয়েছে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। এ ধরনের সম্প্রচার নীতি দেশের রাজনীতি বিকাশের অন্তরায়।"
"আবার বলা হচ্ছে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া যাবে না। এই যে 'বিভ্রান্তিকর তথ্য' এটা নির্ধারণ করবে কে?"প্রশ্ন রাখেন তিনি।
গণমাধ্যমের জন্য একটি সম্প্রচার নীতিমালা স¤প্রতি তৈরি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিতে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া আনলাইনে প্রকাশের সুপারিশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্র্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বও নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও অনলাইনে সবার মতামত নিয়েই এটি চূড়ান্ত করা হবে।
আপাতত কিছুদিনের জন্য সরকার নীতিমালা প্রণয়নের কাজ স্থগিত করলেও পুনরায় তা চালু করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে- এ কথা জানিয়ে কোরেশী বলেন, "এটা হলে আমরা সরাসরি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবো।"
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রশ্নে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অতীত ভূমিকা গৌরবোজ্জল নয় মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, "এক্ষেত্রে ১৯৭৪ সালে নিউজপ্রিন্ট কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স ও ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার সময় কয়েকটি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ছাড়া দেশের সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি স্মরণ করা যেতে পারে।"
জনগণ ও জনমতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংবাদপ্রত্রের স্বাধীনতা খর্ব হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই: কামরুল
ঢাকা, অক্টোবর ০৮
- বিরোধী দল দাবি জানিয়ে এলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবির আড়ালে বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চাইছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আইন প্রতিমন্ত্রী শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বলেন, "পৃথিবীর সব দেশেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়। কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার নজির নেই। উচ্চ আদালত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। তাই এ নিয়ে আলোচনার আর কোনো সুযোগ নেই।"
'সম্মিলিত তরুণ পেশাজীবী পরিষদ' আয়োজিত 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট' শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর বর্তমান বিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, যা নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি থেকে সরে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার পরামর্শ দিতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কামরুল বলেন, "আগামী ফেব্র"য়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। সংসদে আসুন, কীভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করি।"
বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং গ্রেনেড হামলাকারীদের বাঁচাতেই বিরোধী দল রোড মার্চের কর্মসূচি দিয়েছে। কর্মসূচির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।"
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা তুলে ধরে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, "একে একে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে। প্রয়োজনে একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এ সরকারের আমলেই বিচার শেষ করা হবে।"
সভায় পটুয়াখালী-৩ আসনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ, আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন।
- বিরোধী দল দাবি জানিয়ে এলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবির আড়ালে বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চাইছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আইন প্রতিমন্ত্রী শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বলেন, "পৃথিবীর সব দেশেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়। কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার নজির নেই। উচ্চ আদালত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। তাই এ নিয়ে আলোচনার আর কোনো সুযোগ নেই।"
'সম্মিলিত তরুণ পেশাজীবী পরিষদ' আয়োজিত 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট' শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর বর্তমান বিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, যা নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি থেকে সরে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার পরামর্শ দিতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কামরুল বলেন, "আগামী ফেব্র"য়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। সংসদে আসুন, কীভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করি।"
বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং গ্রেনেড হামলাকারীদের বাঁচাতেই বিরোধী দল রোড মার্চের কর্মসূচি দিয়েছে। কর্মসূচির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।"
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা তুলে ধরে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, "একে একে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে। প্রয়োজনে একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এ সরকারের আমলেই বিচার শেষ করা হবে।"
সভায় পটুয়াখালী-৩ আসনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ, আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন।
সেকাল-একাল'র মিলনমেলা ঢাবির বাংলা বিভাগে
ঢাকা, অক্টোবর ০৮ - প্রতিষ্ঠার ৯০ বছর পূর্তি উচ্ছ্বাস আর উল্লাসে উদযাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ।
এ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে জড়ো হতে থাকেন বিভাগের শত শত সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের অভ্যর্থনা জানায় বিভাগের বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অ্যালামনাই আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলা বিভাগ সামনে থেকে অংশ নিয়েছে, নেতৃত্ব নিয়েছে।
"নাগরিকদের দেশপ্রেম ও ভাষার প্রেম ব্যতীত কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। আর বাংলা বিভাগ শিক্ষার্থীদের মাঝে এটাই ছড়িয়ে দেয়," বলেন তিনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের একটি বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে অধ্যাপক আরেফিন বলেন, "সম্পর্কই হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র সত্য। এ ধরনের অনুষ্ঠানে সেটিই দেখা যায়। সেই সম্পর্কই দৃঢ় হয়।"
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগের চেয়ারম্যান সিদ্দিকা মাহমুদ বলেন, "বিভাগের ৯০ বছরের এই মিলন মেলা দেখে আমাদের মন ভরে গেছে। আমরা আশাতীত সাড়া পেয়েছি।"
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠার সময় সংস্কৃতির সঙ্গে থাকলেও ১৯৩৭ সালে আলাদা নামে আত্মপ্রকাশ করে বাংলা বিভাগ। ১৯৫০ সালে আবার ফিরে আসে আগের অবস্থানে। ১৯৭০ সালে বাংলা থেকে আলাদা হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সংস্কৃত ও পালি বিভাগ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাবেক আট শিক্ষার্থীকে সম্মাননা জানানো হয়। এদের মধ্যে অধ্যাপক আশরাফ হোসেন সিদ্দিকী (১৯৫০), রওশন আরা রহমান (১৯৫৩), অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম (১৯৫৪), অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম (১৯৫৪) উপাচার্যের হাত থেকে সম্মাননাপত্র নেন।
সম্মাননা পাওয়া অন্য চার শিক্ষার্থী অধ্যাপক কাজী দীন মুহম্মদ (১৯৪৯), অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১৯৫০), অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (১৯৫১) এবং অধ্যাপক আশরাফ ফারুকী (১৯৫৪) অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি।
'ফিরে যাওয়া, ফিরে আসা'
অনুষ্ঠানে সম্মাননা নিয়ে রওশন আরা রহমান বলেন, "আজকের এই মিলন মেলায় বর্তমান শিক্ষার্থীরা যেভাবে আনন্দিত, উৎফুল্ল। আমার মধ্যে তার কোনো কমতি নেই।
"আজ এই ক্যাম্পাসে ফিরে এসে আমি যেন ফিরে গেছি আমার সময়ে। এটি জীবনের একটি দুর্লভ সময়, এ সময় বারবার জীবনে ফিরে আসবে না।"
বিভাগের শতবর্ষ উদযাপনের সঙ্গী না-ও হতে পারেন- এ শঙ্কা থেকে বর্ষীয়ান এই সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, "আজকের এই দিনকেই আমি শতবর্ষ ধরে নিয়ে উদযাপন করে গেলাম।"
রওশন আরা ৫২'র ২১ ফেব্র"য়ারির অগ্নিগর্ভ সে সময়ের স্মৃতিচারণও করেন।
অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম (১৯৫৪) বলেন, "আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে গিয়েছি সেকালে। এ কালের সঙ্গে তার বিরাট তফাত। তখন আজকের রোকেয়া হল ছিলো না। এখানে ছিলো উইমেন স্টুডেন্ট রেসিডেন্ট নামে একটি বাড়ি। সকালে গেট খোলার পর আমরা বের হতাম, আবার ঢুকতে হতো সন্ধ্যার আগেই।"
তখন ছাত্র-ছাত্রী একসঙ্গে থাকার নিয়ম ছিলো না জানিয়ে তিনি বলেন, "কমনরুম আর ক্লাসের বাইরে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করতাম। ঘোমটা দিয়ে শিক্ষককের সঙ্গে ক্লাসে ঢুকে প্রথম বেঞ্চে বসতাম। ক্লাস শেষে আবার শিক্ষকের সঙ্গেই বের হয়ে যেতাম।"
৯০ বছর পূর্তির এ অনুষ্ঠানে অনেককেই দেখা গেলে পুরনো বন্ধুদের খুঁজে বেড়ানে। কর্মজীবনে এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকলেও তারা এক হয়ে গিয়েছিলেন এ মিলনমেলায়।
এক জনকে পাওয়া গেল, যিনি ঘুরে ঘুরে সবাইকে কেবল ব্যাচ জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছেন। সঙ্গে জানতে চাইছেন, ৬১ ব্যাচের কাউকে দেখেছেন কি-না।
সিরাজগঞ্জ থেকে বাহাদুর আলী মিয়া নামে বাংলা বিভাগের এই সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, "দীর্ঘকাল ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকতা করেছি। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম, কাউকে না কাউকে পাবো। কিন্তু কাউকেই পাচ্ছি না।"
তবে সবার অবস্থা বাহাদুর আলীর মতো নয়, পুরনো বন্ধুদের খুঁজে পেয়েছেন প্রায় সবাই।
বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আওয়াল ফয়সাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সেই ৫০ দশক থেকে প্রায় সব দশকের শিক্ষার্থীরাই আজ এসেছেন। তাদের সবাইকে পাওয়ার বিরল সৌভাগ্য আমি অর্জন করেছি।
"আজ যেন আমাদের কোনো ব্যবধান নেই। এ বিভাগে পড়েছি বা পড়ছি, এটাই একমাত্র পরিচয়। এমনকি বয়সের ব্যবধানও আছে বলে মনে হচ্ছে না।"
১৯৮৫-৮৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাট্যশিল্পী শিরিন বকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আজ প্রকৃতিও যেন বাংলা বিভাগের সঙ্গে মিতালী পাতিয়েছে।"
রোদ-বৃষ্টি-মেঘলা আবহাওয়ার এই দিনে তিনি বলেন, "সাহিত্য অধ্যয়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা প্রকৃতিকেও বোঝার চেষ্টা করেছি, কাজ করেছি।"
তিনি জানান, ১ ফাল্গুন বসন্ত উৎসব বাংলা বিভাগই প্রথম উদযাপন করে, যা এখন চারুকলা অনুষদ বর্ধিত কলেবরে করছে।
এ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে জড়ো হতে থাকেন বিভাগের শত শত সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের অভ্যর্থনা জানায় বিভাগের বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অ্যালামনাই আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলা বিভাগ সামনে থেকে অংশ নিয়েছে, নেতৃত্ব নিয়েছে।
"নাগরিকদের দেশপ্রেম ও ভাষার প্রেম ব্যতীত কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। আর বাংলা বিভাগ শিক্ষার্থীদের মাঝে এটাই ছড়িয়ে দেয়," বলেন তিনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের একটি বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে অধ্যাপক আরেফিন বলেন, "সম্পর্কই হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র সত্য। এ ধরনের অনুষ্ঠানে সেটিই দেখা যায়। সেই সম্পর্কই দৃঢ় হয়।"
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগের চেয়ারম্যান সিদ্দিকা মাহমুদ বলেন, "বিভাগের ৯০ বছরের এই মিলন মেলা দেখে আমাদের মন ভরে গেছে। আমরা আশাতীত সাড়া পেয়েছি।"
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠার সময় সংস্কৃতির সঙ্গে থাকলেও ১৯৩৭ সালে আলাদা নামে আত্মপ্রকাশ করে বাংলা বিভাগ। ১৯৫০ সালে আবার ফিরে আসে আগের অবস্থানে। ১৯৭০ সালে বাংলা থেকে আলাদা হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সংস্কৃত ও পালি বিভাগ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাবেক আট শিক্ষার্থীকে সম্মাননা জানানো হয়। এদের মধ্যে অধ্যাপক আশরাফ হোসেন সিদ্দিকী (১৯৫০), রওশন আরা রহমান (১৯৫৩), অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম (১৯৫৪), অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম (১৯৫৪) উপাচার্যের হাত থেকে সম্মাননাপত্র নেন।
সম্মাননা পাওয়া অন্য চার শিক্ষার্থী অধ্যাপক কাজী দীন মুহম্মদ (১৯৪৯), অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১৯৫০), অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (১৯৫১) এবং অধ্যাপক আশরাফ ফারুকী (১৯৫৪) অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি।
'ফিরে যাওয়া, ফিরে আসা'
অনুষ্ঠানে সম্মাননা নিয়ে রওশন আরা রহমান বলেন, "আজকের এই মিলন মেলায় বর্তমান শিক্ষার্থীরা যেভাবে আনন্দিত, উৎফুল্ল। আমার মধ্যে তার কোনো কমতি নেই।
"আজ এই ক্যাম্পাসে ফিরে এসে আমি যেন ফিরে গেছি আমার সময়ে। এটি জীবনের একটি দুর্লভ সময়, এ সময় বারবার জীবনে ফিরে আসবে না।"
বিভাগের শতবর্ষ উদযাপনের সঙ্গী না-ও হতে পারেন- এ শঙ্কা থেকে বর্ষীয়ান এই সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, "আজকের এই দিনকেই আমি শতবর্ষ ধরে নিয়ে উদযাপন করে গেলাম।"
রওশন আরা ৫২'র ২১ ফেব্র"য়ারির অগ্নিগর্ভ সে সময়ের স্মৃতিচারণও করেন।
অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম (১৯৫৪) বলেন, "আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে গিয়েছি সেকালে। এ কালের সঙ্গে তার বিরাট তফাত। তখন আজকের রোকেয়া হল ছিলো না। এখানে ছিলো উইমেন স্টুডেন্ট রেসিডেন্ট নামে একটি বাড়ি। সকালে গেট খোলার পর আমরা বের হতাম, আবার ঢুকতে হতো সন্ধ্যার আগেই।"
তখন ছাত্র-ছাত্রী একসঙ্গে থাকার নিয়ম ছিলো না জানিয়ে তিনি বলেন, "কমনরুম আর ক্লাসের বাইরে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করতাম। ঘোমটা দিয়ে শিক্ষককের সঙ্গে ক্লাসে ঢুকে প্রথম বেঞ্চে বসতাম। ক্লাস শেষে আবার শিক্ষকের সঙ্গেই বের হয়ে যেতাম।"
৯০ বছর পূর্তির এ অনুষ্ঠানে অনেককেই দেখা গেলে পুরনো বন্ধুদের খুঁজে বেড়ানে। কর্মজীবনে এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকলেও তারা এক হয়ে গিয়েছিলেন এ মিলনমেলায়।
এক জনকে পাওয়া গেল, যিনি ঘুরে ঘুরে সবাইকে কেবল ব্যাচ জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছেন। সঙ্গে জানতে চাইছেন, ৬১ ব্যাচের কাউকে দেখেছেন কি-না।
সিরাজগঞ্জ থেকে বাহাদুর আলী মিয়া নামে বাংলা বিভাগের এই সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, "দীর্ঘকাল ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকতা করেছি। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম, কাউকে না কাউকে পাবো। কিন্তু কাউকেই পাচ্ছি না।"
তবে সবার অবস্থা বাহাদুর আলীর মতো নয়, পুরনো বন্ধুদের খুঁজে পেয়েছেন প্রায় সবাই।
বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আওয়াল ফয়সাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সেই ৫০ দশক থেকে প্রায় সব দশকের শিক্ষার্থীরাই আজ এসেছেন। তাদের সবাইকে পাওয়ার বিরল সৌভাগ্য আমি অর্জন করেছি।
"আজ যেন আমাদের কোনো ব্যবধান নেই। এ বিভাগে পড়েছি বা পড়ছি, এটাই একমাত্র পরিচয়। এমনকি বয়সের ব্যবধানও আছে বলে মনে হচ্ছে না।"
১৯৮৫-৮৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাট্যশিল্পী শিরিন বকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আজ প্রকৃতিও যেন বাংলা বিভাগের সঙ্গে মিতালী পাতিয়েছে।"
রোদ-বৃষ্টি-মেঘলা আবহাওয়ার এই দিনে তিনি বলেন, "সাহিত্য অধ্যয়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা প্রকৃতিকেও বোঝার চেষ্টা করেছি, কাজ করেছি।"
তিনি জানান, ১ ফাল্গুন বসন্ত উৎসব বাংলা বিভাগই প্রথম উদযাপন করে, যা এখন চারুকলা অনুষদ বর্ধিত কলেবরে করছে।
সিলেটে 'নিখোঁজ' চিকিৎসক ফিরেছেন
সিলেট, অক্টোবর ০৮ - সিলেটে বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের 'নিখোঁজ' চিকিৎসক ফিরেছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রশিদ আহমেদ নামে ওই চিকিৎসক নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট (সিএ)।
বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতাল থেকে দুই যুবক তুলে নিয়ে যায় বলে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, "রশিদ আজ টেলিফোন করে জানিয়েছে, সে ফিরেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়েছিলো বলে সে জানিয়েছে।"
ডা. রশিদকে কোন বাহিনী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেছেন, ডা. রশিদ এখন বিশ্রামে রয়েছেন। তিনি পরে কাজে যোগ দেবেন।
রশিদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
এদিকে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ভারতীয় দুই চিকিৎসক এবং দুই শিক্ষার্থী শনিবার দুপুর পর্যন্ত ফেরেনি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে বলে কলেজের অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া খবরে ওই চার ভারতীয়কে শিক্ষার্থী বলা হলেও পরে জানা যায়, তাদের দুজন শিক্ষানবীশ চিকিৎসক এবং অন্য দুজন ছাত্র।
চিকিৎসক দুজন হলেন- তোসাদ্দেক রশিদ ও আমির আমিন রেশমী। ছাত্ররা হলেন- তৌসিফ আহমদ ও দানেশ বাট।
তারা সবাই ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। দানেশ বাটকে নেওয়া হয় শুক্রবার দুপুরে।
অধ্যক্ষ নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বলেন, র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের এক দল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে তাদের নিয়ে যায়।
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ কথা বললেও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোয়াহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।"
অবশ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, নয়া দিল্লি হাইকোর্টে বোমাহামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ইউনানী মেডিকেলে লেখাপড়া করা এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের ফটকে বোমাহামলায় ১৫ জন নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন ওই হামলা চালায় বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার তাদের অনলাইন সংস্করণে জানায়, বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সে দেশের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (এনআইএ) গোয়েন্দারা ওয়াসিম আহমেদ নামের এক কাশ্মীরি এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ইউনানি চিকিৎসায় বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন।
ওয়াসিমকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এনআইএ কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। তবে তারা মনে করছেন, ওই হামলার পরিকল্পনায় জানতে ওয়াসিম একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
রশিদ আহমেদ নামে ওই চিকিৎসক নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট (সিএ)।
বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতাল থেকে দুই যুবক তুলে নিয়ে যায় বলে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, "রশিদ আজ টেলিফোন করে জানিয়েছে, সে ফিরেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়েছিলো বলে সে জানিয়েছে।"
ডা. রশিদকে কোন বাহিনী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেছেন, ডা. রশিদ এখন বিশ্রামে রয়েছেন। তিনি পরে কাজে যোগ দেবেন।
রশিদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
এদিকে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ভারতীয় দুই চিকিৎসক এবং দুই শিক্ষার্থী শনিবার দুপুর পর্যন্ত ফেরেনি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে বলে কলেজের অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া খবরে ওই চার ভারতীয়কে শিক্ষার্থী বলা হলেও পরে জানা যায়, তাদের দুজন শিক্ষানবীশ চিকিৎসক এবং অন্য দুজন ছাত্র।
চিকিৎসক দুজন হলেন- তোসাদ্দেক রশিদ ও আমির আমিন রেশমী। ছাত্ররা হলেন- তৌসিফ আহমদ ও দানেশ বাট।
তারা সবাই ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। দানেশ বাটকে নেওয়া হয় শুক্রবার দুপুরে।
অধ্যক্ষ নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বলেন, র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের এক দল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে তাদের নিয়ে যায়।
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ কথা বললেও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোয়াহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।"
অবশ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, নয়া দিল্লি হাইকোর্টে বোমাহামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ইউনানী মেডিকেলে লেখাপড়া করা এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের ফটকে বোমাহামলায় ১৫ জন নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন ওই হামলা চালায় বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার তাদের অনলাইন সংস্করণে জানায়, বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সে দেশের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (এনআইএ) গোয়েন্দারা ওয়াসিম আহমেদ নামের এক কাশ্মীরি এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ইউনানি চিকিৎসায় বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন।
ওয়াসিমকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এনআইএ কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। তবে তারা মনে করছেন, ওই হামলার পরিকল্পনায় জানতে ওয়াসিম একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
সিলেটে চার ভারতীয় শিক্ষার্থীসহ ৫ জন 'নিখোঁজ'
Sat, Oct 8th, 2011 1:35 am BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাদের চার শিক্ষার্থীকে নিয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যদিও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি। অন্যদিকে এক চিকিৎসকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) নাজমুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে মোঃ আশরাফ, আমির, তসির নামে তিন ভারতীয় ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে নিয়ে যায় আরো একজনকে।
চতুর্থ ছাত্রের নাম জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, এরা সবাই ভারতের জম্মু-কাশ্মীর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল জানান, অজ্ঞাত পরিচয় দুজন লোক বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে এসে মেডিকেল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট (সিএ) রশিদ আহমদকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা জানান, রশিদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডা. রশিদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তাই প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমার ওসি আবু শ্যামা ইকবাল হায়াত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
কারা এদের কোথায় নিয়ে গেছে সে বিষয়ে সিলেটের র্যাব বা পুলিশ কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোয়াহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।"
অবশ্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, দিল্লী হাইকোর্টে বোমা হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ইউনানী মেডিকেলে লেখাপড়া করা এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের ফটকে বোমাহামলায় ১৫ জন নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন ওই হামলা চালায় বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার তাদের অনলাইন সংস্করণে জানায়, বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সে দেশের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (এনআইএ) গোয়েন্দারা ওয়াসিম আহমেদ নামের এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ইউনানি চিকিৎসায় বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন।
ওয়াসিমকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এনআইএ কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। তবে তারা মনে করছেন, ওই হামলার পরিকল্পনায় জানতে ওয়াসিম একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
সিলেটে চার ভারতীয় শিক্ষার্থীসহ ৫ জন 'নিখোঁজ'
Sat, Oct 8th, 2011 1:35 am BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাদের চার শিক্ষার্থীকে নিয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যদিও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি। অন্যদিকে এক চিকিৎসকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) নাজমুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে মোঃ আশরাফ, আমির, তসির নামে তিন ভারতীয় ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে নিয়ে যায় আরো একজনকে।
চতুর্থ ছাত্রের নাম জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, এরা সবাই ভারতের জম্মু-কাশ্মীর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল জানান, অজ্ঞাত পরিচয় দুজন লোক বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে এসে মেডিকেল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট (সিএ) রশিদ আহমদকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা জানান, রশিদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডা. রশিদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তাই প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমার ওসি আবু শ্যামা ইকবাল হায়াত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
কারা এদের কোথায় নিয়ে গেছে সে বিষয়ে সিলেটের র্যাব বা পুলিশ কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোয়াহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।"
অবশ্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, দিল্লী হাইকোর্টে বোমা হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ইউনানী মেডিকেলে লেখাপড়া করা এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের ফটকে বোমাহামলায় ১৫ জন নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন ওই হামলা চালায় বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার তাদের অনলাইন সংস্করণে জানায়, বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সে দেশের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (এনআইএ) গোয়েন্দারা ওয়াসিম আহমেদ নামের এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ইউনানি চিকিৎসায় বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন।
ওয়াসিমকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এনআইএ কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। তবে তারা মনে করছেন, ওই হামলার পরিকল্পনায় জানতে ওয়াসিম একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজধানীর বারিধারায় ডিওএইচএসের পার্কে উল্টো পথে হাঁটার অভিযোগে এই চার কিশোরকে মারধর করেন অবসরপ্রাপ্ত তিন সেনা কর্মকর্তা ও এক সার্জেন্ট
ছবি: প্রথম আলো
রাজধানীর বারিধারায় ডিওএইচএসের পার্কে উল্টো পথে হাঁটার অভিযোগে এ-লেভেলপড়ুয়া চার কিশোরকে মারধর করেছেন অবসরপ্রাপ্ত তিন সেনা কর্মকর্তা ও এক সার্জেন্ট। তাদের চোর হিসেবে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই চার কিশোরের অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, ডিওএইচএস পরিষদ গতকাল শুক্রবার বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৈঠক করে। কিন্তু অভিযুক্ত চারজনের দুজনই বৈঠকে আসেননি। এ ব্যাপারে অভিভাবকেরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
জানতে চাইলে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ওই ছেলেদের চড় মারার কথা স্বীকার করেন। তবে ওই ঘটনার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
ঘটনার শিকার স্কলাস্টিকা স্কুল ও কলেজের ছাত্র মুশফিকুর রহমান জানায়, তারা বারিধারার ডিওএইচএসের ১ নম্বর সড়কের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সহপাঠী ফাহাদ হোসাইন, পৃথু আমিন ও তাসবীর ইসলাম কোচিং শেষ করে তার বাসায় আসে। তাদের বয়স ১৭ বছর। ফাহাদ ও পৃথুর বাসা উত্তরায়, তাসবীর বনানীতে থাকে।
মুশফিকুর জানায়, সন্ধ্যায় তারা সবাই ডিওএইচএসের ৫ নম্বর সড়কের পার্কে ঘুরতে যায়। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হোসেন তাদের কাছে উল্টো পথে হাঁটার কারণ জানতে চান। তারা নিয়ম না জানার বিষয়টি জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। এর পরও জাকির হোসেন তাদের বকাঝকা করেন। কিছুক্ষণ পর ডিওএইচএসের প্রশাসনিক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুল আশরাফ ও অপর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আসেন। তাঁরা তাদের হাত ও চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে পার্কের পাশে ব্যারাকে নিয়ে যান। সেখানে রশি দিয়ে তিনজনকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটান, কেউ কেউ চড়-থাপড়ও মারেন। খবর পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের তত্ত্বাবধায়ক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আবদুস ছালাম ৩০-৪০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে আসেন। তাঁদেরও কেউ কেউ চড়-থাপড় মারেন।
মুশফিকুর বলে, খবর পেয়ে তার মা মাসুদা রহমান ও এক প্রতিবেশী এলে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা তাঁদেরও গালমন্দ করেন।
আরেক কিশোর তাসবীর বলে, ‘বাঁধা অবস্থা থেকে কোনোমতে ছুটে আমি মাকে ফোন করতে পকেট থেকে মুঠোফোন বের করি। এ সময় আজিজুল ও ছালাম লাঠি দিয়ে হাতে আঘাত করে মুঠোফোন কেড়ে নেন।’
ফাহাদ বলে, ‘মারধরের একপর্যায়ে আজিজুল নিরাপত্তাকর্মীদের বলেন, “মারতে মারতে ওদের মেরে ফ্যাল।” এটা শুনে আমরা ভয়ে কুঁকড়ে যাই। তখন আমার চোখের সামনে আমিনবাজারে ছয় ছাত্র মারা যাওয়ার ঘটনার ছবি ভাসছিল।’ সে আরও জানায়, এ ঘটনার ৩০ মিনিট পর পুলিশ আসে। তখন তাদের বিরুদ্ধে গ্লাস চুরি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এনে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সবার মা-বাবা এলে তাঁরা চুপ হয়ে যান। একপর্যায়ে আজিজুল ছাড়া অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন। পরে বাবা-মায়েরা তাদের বাসায় নিয়ে যান।
গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় ওই ঘটনা নিয়ে ডিওএইচএসের পরিষদ কার্যালয়ে সালিস বৈঠক করেন পরিষদের কর্মকর্তারা। সেখানে ওই চার ছাত্র, তাদের অভিভাবক ছাড়াও পরিষদের সভাপতি, কর্মকর্তা, মারধরকারী সাবেক তিন কর্মকর্তার দুজন উপস্থিত ছিলেন। আবদুস ছালামও অনুপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই কিশোরেরা ও তাদের বাবা-মায়েরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা মারধরকারী আজিজুল আশরাফ ও জাকির হোসেনকে দেখিয়ে পরিষদের কাছে তাঁদের শাস্তি দাবি করেন।
বৈঠকের পর পরিষদের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) কাজী আশফাক আহমেদ বলেন, আজিজুল আশরাফকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অন্য দুজনের বৈঠকে অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর না দিয়ে চলে যান।
জানতে চাইলে জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মারধর করিনি, চেঁচামেচি শুনে সেখানে গিয়েছিলাম।’
ঘটনার বিষয়ে আজিজুল আশরাফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমা চাইছি।’
বৈঠকের পর তাসবীরের বাবা কামরুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা না করার জন্য পরিষদ অনুরোধ করেছিল। তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বৈঠকে বসেন। কিন্তু এ বৈঠকে তাঁরা সন্তুষ্ট হননি। কারণ সব দোষীর শাস্তি হয়নি। তাই এ ব্যাপারে তাঁরা আইনের আশ্রয় নেবেন।
ওই চার কিশোরের অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, ডিওএইচএস পরিষদ গতকাল শুক্রবার বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৈঠক করে। কিন্তু অভিযুক্ত চারজনের দুজনই বৈঠকে আসেননি। এ ব্যাপারে অভিভাবকেরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
জানতে চাইলে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ওই ছেলেদের চড় মারার কথা স্বীকার করেন। তবে ওই ঘটনার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
ঘটনার শিকার স্কলাস্টিকা স্কুল ও কলেজের ছাত্র মুশফিকুর রহমান জানায়, তারা বারিধারার ডিওএইচএসের ১ নম্বর সড়কের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সহপাঠী ফাহাদ হোসাইন, পৃথু আমিন ও তাসবীর ইসলাম কোচিং শেষ করে তার বাসায় আসে। তাদের বয়স ১৭ বছর। ফাহাদ ও পৃথুর বাসা উত্তরায়, তাসবীর বনানীতে থাকে।
মুশফিকুর জানায়, সন্ধ্যায় তারা সবাই ডিওএইচএসের ৫ নম্বর সড়কের পার্কে ঘুরতে যায়। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হোসেন তাদের কাছে উল্টো পথে হাঁটার কারণ জানতে চান। তারা নিয়ম না জানার বিষয়টি জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। এর পরও জাকির হোসেন তাদের বকাঝকা করেন। কিছুক্ষণ পর ডিওএইচএসের প্রশাসনিক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুল আশরাফ ও অপর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আসেন। তাঁরা তাদের হাত ও চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে পার্কের পাশে ব্যারাকে নিয়ে যান। সেখানে রশি দিয়ে তিনজনকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটান, কেউ কেউ চড়-থাপড়ও মারেন। খবর পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের তত্ত্বাবধায়ক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আবদুস ছালাম ৩০-৪০ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে আসেন। তাঁদেরও কেউ কেউ চড়-থাপড় মারেন।
মুশফিকুর বলে, খবর পেয়ে তার মা মাসুদা রহমান ও এক প্রতিবেশী এলে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা তাঁদেরও গালমন্দ করেন।
আরেক কিশোর তাসবীর বলে, ‘বাঁধা অবস্থা থেকে কোনোমতে ছুটে আমি মাকে ফোন করতে পকেট থেকে মুঠোফোন বের করি। এ সময় আজিজুল ও ছালাম লাঠি দিয়ে হাতে আঘাত করে মুঠোফোন কেড়ে নেন।’
ফাহাদ বলে, ‘মারধরের একপর্যায়ে আজিজুল নিরাপত্তাকর্মীদের বলেন, “মারতে মারতে ওদের মেরে ফ্যাল।” এটা শুনে আমরা ভয়ে কুঁকড়ে যাই। তখন আমার চোখের সামনে আমিনবাজারে ছয় ছাত্র মারা যাওয়ার ঘটনার ছবি ভাসছিল।’ সে আরও জানায়, এ ঘটনার ৩০ মিনিট পর পুলিশ আসে। তখন তাদের বিরুদ্ধে গ্লাস চুরি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এনে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সবার মা-বাবা এলে তাঁরা চুপ হয়ে যান। একপর্যায়ে আজিজুল ছাড়া অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন। পরে বাবা-মায়েরা তাদের বাসায় নিয়ে যান।
গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় ওই ঘটনা নিয়ে ডিওএইচএসের পরিষদ কার্যালয়ে সালিস বৈঠক করেন পরিষদের কর্মকর্তারা। সেখানে ওই চার ছাত্র, তাদের অভিভাবক ছাড়াও পরিষদের সভাপতি, কর্মকর্তা, মারধরকারী সাবেক তিন কর্মকর্তার দুজন উপস্থিত ছিলেন। আবদুস ছালামও অনুপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই কিশোরেরা ও তাদের বাবা-মায়েরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা মারধরকারী আজিজুল আশরাফ ও জাকির হোসেনকে দেখিয়ে পরিষদের কাছে তাঁদের শাস্তি দাবি করেন।
বৈঠকের পর পরিষদের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) কাজী আশফাক আহমেদ বলেন, আজিজুল আশরাফকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অন্য দুজনের বৈঠকে অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর না দিয়ে চলে যান।
জানতে চাইলে জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মারধর করিনি, চেঁচামেচি শুনে সেখানে গিয়েছিলাম।’
ঘটনার বিষয়ে আজিজুল আশরাফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমা চাইছি।’
বৈঠকের পর তাসবীরের বাবা কামরুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা না করার জন্য পরিষদ অনুরোধ করেছিল। তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বৈঠকে বসেন। কিন্তু এ বৈঠকে তাঁরা সন্তুষ্ট হননি। কারণ সব দোষীর শাস্তি হয়নি। তাই এ ব্যাপারে তাঁরা আইনের আশ্রয় নেবেন।
কুমিল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে ছয়টি ভবন বিধ্বস্ত
কুমিল্লা শহরের তালপুকুরপাড় এলাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত চারতলা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান, রাত তিনটার দিকে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অসিত রঞ্জন মজুমদারের চারতলা ভবনের নিচতলার গ্যাসের লাইনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের নিচতলার চারটি কক্ষের ছাদ উড়ে যায় এবং আগুন ধরে। ওই ভবনের উত্তর পাশে আইনজীবী বিজয় কুমার মজুমদারের একতলা টিনশেড ভবনে আগুন ধরে যায়। পূর্ব পাশে থাকা কুমিল্লার সাবেক সহকারী সিভিল সার্জন আক্তারুজ্জামানের পাঁচতলা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ ও লোহার গ্রিল বিধ্বস্ত হয়। এর লাগোয়া ঠিকাদার শাহনেওয়াজের ভবনের তিনতলা পর্যন্ত কাচ ভেঙে যায়। আরও দুটি টিনশেড ভবনের টিনের চাল উড়ে যায়।
খবর পেয়ে দমকলবাহিনী গিয়ে আগুন নেভায়। ওই সময়ে বাখরাবাদের লোকজন এসে গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তখন বিদ্যুতের লাইনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এলাকাবাসী ও দমকলবাহিনী মরণ দেবনাথ (৫০), শিল্পী দেবনাথ (৩৫) ও অপু দেবনাথকে (১০) উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় পাঠায়। এর মধ্যে মরণের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে টিনশেডের একটি ভবন থেকে তাপসী, নীলা, সজল, পার্থ, বিষ্ণুসহ আরও দুজনকে উদ্ধার করে। এদের কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, অসিত রঞ্জনের বাসায় সাতটি চুলা থাকার কথা, কিন্তু আছে ২৮টি। অবৈধ লাইন নিয়ে তিনি এই কাজ করেছেন। ছয় মাস আগে তিনি এক লাখ টাকা জরিমানাও দিয়েছেন। ওই বাসায় তিন দিন গ্যাস ছিল না। অসিত সিলেটে বেড়াতে গেলে অন্য মেকানিক এনে ভাড়াটিয়ারা লাইন ঠিক করেন এবং গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে দেন।
প্রতিবেশী বিজয় কুমার মজুমদার বলেন, ‘বিকট শব্দ শুনে আমার ছেলেকে কোলে করে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই। পরে আগুন ও ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পাই।’ তিনি এ ঘটনার জন্য অসিত রঞ্জন মজুমদারের গ্যাসলাইনকে দায়ী করেন।
তবে অসিত রঞ্জন মজুমদার দাবি করেছেন, তাঁর গ্যাসের লাইন বৈধ। ঘটনার রাতে তিনি সিলেটে ছিলেন। দুর্বল কাঠামো দিয়ে এই ভবন তৈরি এবং তিন ইঞ্চি ইটের দেয়ালের কথা তিনি স্বীকার করেছেন।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অবৈধ গ্যাসলাইনের ত্রুটির কারণে ওই ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জাহান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, গ্যাসের বিস্ফোরণে ওই ঘটনা ঘটেছে। পুরো বিষয়টি তদন্তের পর আমরা এর কারণ উদ্ঘাটন করে নিশ্চিত হব।’
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ ক ম আবদুস সালাম গতকাল শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসিত রঞ্জনের বাসার গ্যাসের লাইনে কোনো ধরনের রেগুলেটর ছিল না। রাইজার থেকে তাঁরা সরাসরি গ্যাস নিয়েছেন। গ্যাসের প্রবাহ বেশি থাকায় ওই ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। অবৈধ সংযোগ থাকলে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মাহবুব খানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল আহসান গতকাল শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনা এলাকা পরিদর্শন শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আখাউড়ায় লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রাক গর্তে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গতকাল অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেন। গ্রামবাসীর বিচক্ষণতায় ট্রেন রক্ষা পায়। লেভেল ক্রসিংয়ে একটি ট্রাক গর্তে পড়ে গেলে ট্রেনটি দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দেয়। চালক যখন ট্রেন থামায় তখন ট্রাকটি মাত্র ২০ গজ দূরে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাথর বোঝাই ট্রাকটি একটি সিএনজি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে আখাউড়া আউটার সিগন্যালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় গর্তে পড়ে যায়। এর কিছু সময়ের মধ্যে ট্রেন আসতে দেখে লোকজন রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে যায়। তারা কেউ লাল নিশান, কেউ মসজিদের জন্য চাঁদা তোলার মাইকে ট্রেন থামাতে অনুরোধ জানাতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাথর বোঝাই ট্রাকটি একটি সিএনজি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে আখাউড়া আউটার সিগন্যালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় গর্তে পড়ে যায়। এর কিছু সময়ের মধ্যে ট্রেন আসতে দেখে লোকজন রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে যায়। তারা কেউ লাল নিশান, কেউ মসজিদের জন্য চাঁদা তোলার মাইকে ট্রেন থামাতে অনুরোধ জানাতে থাকে।
সিরিয়া বিক্ষোভে তিন হাজার নিহত : জাতিসংঘ
সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা সরকারবিরোধী আন্দোলনে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। হাইকমিশন জানায়, দেশটিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী আন্দোলনে এ পর্যন্ত দুই হাজার নয় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি এর আগে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ৭০০ বলে উল্লেখ করে। মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র রুপার্ট কলভেলি বলেন, দেশটির ভেতর ও বাইরের বিশ্বস্ত সূত্রের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। নিহতদের সবার নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্যও রয়েছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবারও দেশটির ইদলিব প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরকার বিরোধীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ মোট ১২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী দাবি করেছে। সিরিয়ায় গত সাত মাস ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী আন্দোলন চলছে। বিরোধীদের দমনে সরকার ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গত সাত মাস ধরে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী আন্দোলন চলছে। বিরোধীদের দমনে সরকার ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমারা বারবার এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানালেও বাশার আল আসাদ তাতে কর্ণপাত করছেন না। রয়টার্স।
এদিকে গত বৃহস্পতিবারও দেশটির ইদলিব প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরকার বিরোধীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ মোট ১২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী দাবি করেছে। সিরিয়ায় গত সাত মাস ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী আন্দোলন চলছে। বিরোধীদের দমনে সরকার ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গত সাত মাস ধরে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী আন্দোলন চলছে। বিরোধীদের দমনে সরকার ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমারা বারবার এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানালেও বাশার আল আসাদ তাতে কর্ণপাত করছেন না। রয়টার্স।
চোখের সামনে তিতাসের লাখ লাখ টাকার গ্যাস চুরি
সাম্প্রতিক সময়ে তিতাস গ্যাস তাদের সিস্টেম লস শূন্যের কোঠায় দাবি করলেও শুধু কড়াইল বস্তিতেই মাসে গ্যাস চুরি হচ্ছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার। এতে ভর্তুকি মিলিয়ে সরকারের মাসিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭০ লাখ টাকা। সরকার গ্যাস সংকটের কথা বলে আবাসিক সংযোগ বন্ধ রাখলেও গুলশান থানার শুধু এ বস্তিতেই রয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার অবৈধ সংযোগ। প্রকাশ্যে এ অপরাধ ঘটলেও তিতাস বলছে, সন্ত্রাসের কারণে তারা সেখানে কিছুই করতে পারছে না। এ পর্যন্ত একাধিকবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও বস্তিবাসী আবার তা লাগিয়ে নিচ্ছে। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আয়োজন করে সংযোগ কাটলেও তিতাসের লোকজনই আবার রাতের আঁধারে সংযোগ লাগিয়ে দিয়ে আসছেন। আর এর মাধ্যমে পকেট ভারী করে নিচ্ছেন স্বয়ং তিতাসেরই অনেক কর্মকর্তা।
তিতাস কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১০ মাসে পাঁচবার ওই বস্তির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গত সর্বশেষ ঈদের আগে ১৭ আগস্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু আবারও সংযোগ লাগিয়ে নিয়েছেন তারা। গুলশান পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে ২৫ জানুয়ারি গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি ও ১৫ মে মামলা করা হলেও (নম্বর ৪১) কোনো লাভ হয়নি। পুলিশের সহযোগিতায়ই এসব অপরাধ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কয়েকজনকে ধরে আদালতেও পাঠিয়েছি। তবে কে কখন গ্যাস সংযোগ লাগায় তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আর কে গ্যাস কোম্পানির লোক, কে চোর তা তো আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়া কারিগরি বিষয়। গ্যাস কোম্পানির লোক ছাড়া সাধারণ মানুষের তা পারার কথা নয়। তাই তিতাস কর্তৃপক্ষকে নিজ দায়িত্বে পাহারা বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সূত্র জানায়, ওই বস্তিতে গ্যাস সংযোগের সঙ্গে তিতাসেরই একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এ কারণে বাইরে থেকে লোক-দেখানো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও স্থায়ীভাবে সংযোগ বন্ধ বা পাহারার ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে বছরের পর বছর গ্যাস চুরির মহোৎসব চলছেই। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (দক্ষিণ) প্রকৌশলী আসাবউদ্দীন জানান, অনেক কর্মকর্তা অভিযানে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই ওই এলাকায় যেতে চান না। সরেজমিনে কড়াইল বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, বস্তিতে প্রতি তিন-চার পরিবারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে একটি ডাবল বার্নার গ্যাসের চুলা। আবার বস্তির প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য রেখে বা ঘর ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে কোনো পরিবার একাই একটা চুলা ব্যবহার করছে। বস্তিতে বসবাসকারী চা বিক্রেতা তানিয়া বলেন, বড় ভাইদের সঙ্গে (স্থানীয় সন্ত্রাসী) খাতির রাখতে পারলে সব সুবিধা পাওয়া যায়। গ্যাস সংযোগ কাটার ব্যাপারে তানিয়া বলেন, 'যারা কাইটা দিয়া যায়, হেগো লোকই আবার আইসা লাগায় দিয়া যায়।' প্রায় দুই দশক আগে রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মহাখালীর মাঝে ১৭০ একর সরকারি জমির ওপর এক চিলতে উপশহরের মতো গড়ে ওঠা কড়াইল বস্তি রাজধানীর পোশাকশ্রমিক, দিনমজুর, গৃহকর্মী, রিকশাচালকসহ কায়িক শ্রমজীবীদের সবচেয়ে বৃহৎ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। সূত্র জানায়, বস্তিতে বসবাসকারী প্রায় ২৫ হাজার পরিবারে লোকসংখ্যা হবে দেড় লাখের মতো। বৈধ সংযোগ না থাকায় পুরো বস্তি চলছে অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুতে। প্রতি মাসে ঘর ভাড়া, অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে বস্তি থেকে আদায় হয় কোটি টাকা। এ ছাড়া চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি গ্রুপ এ টাকা সংগ্রহ করে তার ভাগ পাঠিয়ে দেয় পুলিশ, রাজনীতিবিদ থেকে মন্ত্রী-আমলাদের সিন্দুক পর্যন্ত। ভাগ যায় তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের পকেটেও। ফলে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক কড়াইল বস্তির অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এদিকে কড়াইল বস্তির গ্যাস সংযোগ আবার কাটার জন্য ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান বলেন, এবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর তিতাস থেকে পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।
তিতাস কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১০ মাসে পাঁচবার ওই বস্তির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গত সর্বশেষ ঈদের আগে ১৭ আগস্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু আবারও সংযোগ লাগিয়ে নিয়েছেন তারা। গুলশান পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে ২৫ জানুয়ারি গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি ও ১৫ মে মামলা করা হলেও (নম্বর ৪১) কোনো লাভ হয়নি। পুলিশের সহযোগিতায়ই এসব অপরাধ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কয়েকজনকে ধরে আদালতেও পাঠিয়েছি। তবে কে কখন গ্যাস সংযোগ লাগায় তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আর কে গ্যাস কোম্পানির লোক, কে চোর তা তো আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়া কারিগরি বিষয়। গ্যাস কোম্পানির লোক ছাড়া সাধারণ মানুষের তা পারার কথা নয়। তাই তিতাস কর্তৃপক্ষকে নিজ দায়িত্বে পাহারা বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সূত্র জানায়, ওই বস্তিতে গ্যাস সংযোগের সঙ্গে তিতাসেরই একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এ কারণে বাইরে থেকে লোক-দেখানো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও স্থায়ীভাবে সংযোগ বন্ধ বা পাহারার ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে বছরের পর বছর গ্যাস চুরির মহোৎসব চলছেই। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (দক্ষিণ) প্রকৌশলী আসাবউদ্দীন জানান, অনেক কর্মকর্তা অভিযানে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই ওই এলাকায় যেতে চান না। সরেজমিনে কড়াইল বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, বস্তিতে প্রতি তিন-চার পরিবারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে একটি ডাবল বার্নার গ্যাসের চুলা। আবার বস্তির প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য রেখে বা ঘর ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে কোনো পরিবার একাই একটা চুলা ব্যবহার করছে। বস্তিতে বসবাসকারী চা বিক্রেতা তানিয়া বলেন, বড় ভাইদের সঙ্গে (স্থানীয় সন্ত্রাসী) খাতির রাখতে পারলে সব সুবিধা পাওয়া যায়। গ্যাস সংযোগ কাটার ব্যাপারে তানিয়া বলেন, 'যারা কাইটা দিয়া যায়, হেগো লোকই আবার আইসা লাগায় দিয়া যায়।' প্রায় দুই দশক আগে রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মহাখালীর মাঝে ১৭০ একর সরকারি জমির ওপর এক চিলতে উপশহরের মতো গড়ে ওঠা কড়াইল বস্তি রাজধানীর পোশাকশ্রমিক, দিনমজুর, গৃহকর্মী, রিকশাচালকসহ কায়িক শ্রমজীবীদের সবচেয়ে বৃহৎ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। সূত্র জানায়, বস্তিতে বসবাসকারী প্রায় ২৫ হাজার পরিবারে লোকসংখ্যা হবে দেড় লাখের মতো। বৈধ সংযোগ না থাকায় পুরো বস্তি চলছে অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুতে। প্রতি মাসে ঘর ভাড়া, অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে বস্তি থেকে আদায় হয় কোটি টাকা। এ ছাড়া চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি গ্রুপ এ টাকা সংগ্রহ করে তার ভাগ পাঠিয়ে দেয় পুলিশ, রাজনীতিবিদ থেকে মন্ত্রী-আমলাদের সিন্দুক পর্যন্ত। ভাগ যায় তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের পকেটেও। ফলে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক কড়াইল বস্তির অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এদিকে কড়াইল বস্তির গ্যাস সংযোগ আবার কাটার জন্য ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান বলেন, এবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর তিতাস থেকে পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।
বিসিবি একাদশের ৬৫ রানে হার মুশফিকদের প্রতি সতর্ক বার্তা
প্রস্তুতি ম্যাচে প্রস্তুতিটা কী হলো! ফলাফল কিন্তু তা বলে না! জাতীয় দলের ছয় ক্রিকেটারকে নিয়ে গড়া বিসিবি একাদশকে ১৫২ রানে গুড়িয়ে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরেকবার স্মরণ করাল ৫৮ রানের সেই লজ্জাকে। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শাহরিয়ার নাফিসদের ফিল্ডিং মিসের মহড়া এবং ব্যাটসম্যানদের আত্মাহুতি দেখে লজ্জা পাচ্ছিল সূর্যও। তাই বারবার মুখ লুকাচ্ছিল মেঘের আড়ালে। ৬৫ রানের হারের ম্যাচে ক্রিকেটারদের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ দর্শকরাও।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হারের পরও আত্মবিশ্বাসী অলরাউন্ডার অলক কাপালি। স্বপ্ন দেখছেন সিরিজ জয়ের, 'আমাদের নিয়মিত বোলাররা কেউ খেলেনি। এই বোলারদের বিপক্ষেই ওরা ধুঁকেছে। তাছাড়া মিরপুর উইকেটের সঙ্গে এখানকার অনেক পার্থক্য। তাই আমি সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।' কাপালির কথা কী বিশ্বাস করতে পারছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা! ক্যারিবীয় বোলিংয়ের দুই বোরিং তুন কেমার রোজ ও স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে ছাড়াই রামপাল-রাসেলরা যেভাবে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছে, তাই ওদের উপস্থিতিতে সফরকারীদের বোলিং যে আরও ভয়ঙ্কর হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রস্তুতি ম্যাচে হতাশার মাঝেও আশার আলো দেখিয়েছেন কাপালি। ঝলক দেখিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ছিল এই দুই অলরাউন্ডারের দাপট। বল হাতে ২ ওভারে ৩ উইকেট নেওয়া আশরাফুল ব্যাটিংয়েও যেন ছিলেন অগি্নমূর্তি। উইকেটে এসে প্রথম বলেই গালি এবং পয়েন্টের মাঝামাঝি দুর্দান্ত এক বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেন ইনিংস। স্যামির ওই ওভারের শেষ দুটি বলে আরও দুটি বাউন্ডারি। আশরাফুলের হাতে মার খেয়ে প্রথম বলে জুনায়েদকে আউট করার আনন্দও যেন মাটি হয়ে গিয়েছিল ক্যাবিরীয় অধিনায়ক স্যামির। আশরাফুলের এক একটি আত্মবিশ্বাসী শর্ট যেন পুরনো কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। মনে করে দিচ্ছিল ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৮ বলে ১০০ ও নটিংহামশায়ারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৪ বলে ৯৪ রানের কথা। কিন্তু তার অবিবেচকের মতো আউট হওয়ার দৃশ্যটি হয়ে থাকল বোকামির দৃশ্য হয়ে। ২৯ বলে ৩২ রান করে উইকেটের বাইরের বল মেরে রামদিনের গ্লাভসবন্দী হন। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দ্যুতি ছড়িয়েছেন কাপালি। ৯ ওভারে ৩২ রানে নিয়েছে ২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে রান করেছেন ৪১। আলো ছড়ানো ইনিংস হলেও যত অতৃপ্তি আউট হওয়া নিয়ে। উইকেটের বাইরের বল অহেতুক খেলতে যেয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ।
ফতুল্লার ব্যাটিং উইকেটে সফরকারীদের ২১৭ রানে আটকে দিয়ে জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল বিসিব একাদশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের খেয়ালিপনা ব্যাটিংয়ে বড় ব্যবধানেই হার মানে বিসিবি একাদশ। আশারাফুল-কাপালি ছাড়া আর কেউ নিজেকে মেলে ধরতেই পারেননি। এরমধ্যে পাঁচ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেননি। ব্যাটিং উইকেটে উল্টো দাপট দেখিয়েছেন ক্যাবিরীয় পেসার দিনেশ রামপাল। মাত্র ২৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অবশ্য উইকেট পতনে ক্যারিবীয় বোলারদের চেয়ে বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানদের শর্ট সিলেকশনে অদূরদর্শীতাই দায়ী বলে মনে করেন কাপালি।
শুভাগত হোম, অভিষেক ম্যাচেই তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আলো ছড়িয়েছিলেন। সেই আলোকে কোথায় আরও প্রজ্বলিত করবেন, তা না করে নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে রেখেছেন। প্রস্তুতির বিসিবি কাপেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। গতকালও রাসেলের বলে মিড উইকেটে কাইরন পাওয়েলের হাতে সহজ ক্যাচ দেন শুভাগত। নাঈম ইসলামও নিজের ছাড়া থেকে বের হয়ে আসতে পারলেন না। রামপালের বলে কাভারে স্যামিকে যেন ক্যাচ প্রাকটিস করালেন।
আর শাহরিয়ার নাফিস ৫১ বলে মাত্র ১৬ রান যেভাবে আউট হলেন তার ব্যাখা শুধু তিনিই দিতে পারেন। আলাউদ্দীন বাবুকে হতভাগাই বলতে হয়। আগের বলেই লং অফে ডেনজা হায়াত তার সহজ ক্যাচটি ফেলে দিয়ে নতুন জীবন দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। স্যামুয়েলসের পরের বলেই পরের বলেই মিড উইকেটে মার্টিনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে জানিয়ে দিলেন কারও করুণা গ্রহণ করেন না বাবু! শেষ ভরসা ছিল নাসির। তিনিও ফতুল্লার দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ২১ রান করে নাসির যেভাবে স্যামুয়েলসের বলে পুল খেলে উইকেটরক্ষক রামদিনকে ক্যাচ দেন, এই আউটকে বোকামি ছাড়া অন্য কিছু বলাই বাহুল্য।
৪৫ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের জয় দেখতেই গতকাল বড় আশা করে দর্শকরা ফতুল্লা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। কিন্তু তাদের সে আশায় গুড়েবালি। বোলিংয়ে কিছুটা আলো ছড়ালেও ব্যাটিং-ফিল্ডিং ছিল খুবই হতাশার। এক ম্যাচে তিন তিনটি ক্যাচ ফেলে দিলে আর কিবা করার থাকে বোলারদের। অষ্টম ওভারে নিজের বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন আলাউদ্দীন বাবু। দশম ওভারে নাঈমের বলে লং অনে ক্যাচ মিস করে পাওয়েলকে নতুন জীবন দেন সোহাগ গাজী। একটি সহজ ক্যাচ মিস করেছেন শাহরিয়ার নাফিসও। প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হারটা হতে পারে জাতীয় দলের জন্য সতর্ক সংকেত। এই পরাজয় থেকে কিছু শিখতে না পারলে সামনে আবারও যে লজ্জায় পড়তে হবে
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হারের পরও আত্মবিশ্বাসী অলরাউন্ডার অলক কাপালি। স্বপ্ন দেখছেন সিরিজ জয়ের, 'আমাদের নিয়মিত বোলাররা কেউ খেলেনি। এই বোলারদের বিপক্ষেই ওরা ধুঁকেছে। তাছাড়া মিরপুর উইকেটের সঙ্গে এখানকার অনেক পার্থক্য। তাই আমি সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।' কাপালির কথা কী বিশ্বাস করতে পারছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা! ক্যারিবীয় বোলিংয়ের দুই বোরিং তুন কেমার রোজ ও স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে ছাড়াই রামপাল-রাসেলরা যেভাবে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছে, তাই ওদের উপস্থিতিতে সফরকারীদের বোলিং যে আরও ভয়ঙ্কর হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রস্তুতি ম্যাচে হতাশার মাঝেও আশার আলো দেখিয়েছেন কাপালি। ঝলক দেখিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ছিল এই দুই অলরাউন্ডারের দাপট। বল হাতে ২ ওভারে ৩ উইকেট নেওয়া আশরাফুল ব্যাটিংয়েও যেন ছিলেন অগি্নমূর্তি। উইকেটে এসে প্রথম বলেই গালি এবং পয়েন্টের মাঝামাঝি দুর্দান্ত এক বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেন ইনিংস। স্যামির ওই ওভারের শেষ দুটি বলে আরও দুটি বাউন্ডারি। আশরাফুলের হাতে মার খেয়ে প্রথম বলে জুনায়েদকে আউট করার আনন্দও যেন মাটি হয়ে গিয়েছিল ক্যাবিরীয় অধিনায়ক স্যামির। আশরাফুলের এক একটি আত্মবিশ্বাসী শর্ট যেন পুরনো কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। মনে করে দিচ্ছিল ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৮ বলে ১০০ ও নটিংহামশায়ারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৪ বলে ৯৪ রানের কথা। কিন্তু তার অবিবেচকের মতো আউট হওয়ার দৃশ্যটি হয়ে থাকল বোকামির দৃশ্য হয়ে। ২৯ বলে ৩২ রান করে উইকেটের বাইরের বল মেরে রামদিনের গ্লাভসবন্দী হন। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দ্যুতি ছড়িয়েছেন কাপালি। ৯ ওভারে ৩২ রানে নিয়েছে ২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে রান করেছেন ৪১। আলো ছড়ানো ইনিংস হলেও যত অতৃপ্তি আউট হওয়া নিয়ে। উইকেটের বাইরের বল অহেতুক খেলতে যেয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ।
ফতুল্লার ব্যাটিং উইকেটে সফরকারীদের ২১৭ রানে আটকে দিয়ে জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল বিসিব একাদশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের খেয়ালিপনা ব্যাটিংয়ে বড় ব্যবধানেই হার মানে বিসিবি একাদশ। আশারাফুল-কাপালি ছাড়া আর কেউ নিজেকে মেলে ধরতেই পারেননি। এরমধ্যে পাঁচ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেননি। ব্যাটিং উইকেটে উল্টো দাপট দেখিয়েছেন ক্যাবিরীয় পেসার দিনেশ রামপাল। মাত্র ২৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অবশ্য উইকেট পতনে ক্যারিবীয় বোলারদের চেয়ে বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানদের শর্ট সিলেকশনে অদূরদর্শীতাই দায়ী বলে মনে করেন কাপালি।
শুভাগত হোম, অভিষেক ম্যাচেই তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আলো ছড়িয়েছিলেন। সেই আলোকে কোথায় আরও প্রজ্বলিত করবেন, তা না করে নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে রেখেছেন। প্রস্তুতির বিসিবি কাপেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। গতকালও রাসেলের বলে মিড উইকেটে কাইরন পাওয়েলের হাতে সহজ ক্যাচ দেন শুভাগত। নাঈম ইসলামও নিজের ছাড়া থেকে বের হয়ে আসতে পারলেন না। রামপালের বলে কাভারে স্যামিকে যেন ক্যাচ প্রাকটিস করালেন।
আর শাহরিয়ার নাফিস ৫১ বলে মাত্র ১৬ রান যেভাবে আউট হলেন তার ব্যাখা শুধু তিনিই দিতে পারেন। আলাউদ্দীন বাবুকে হতভাগাই বলতে হয়। আগের বলেই লং অফে ডেনজা হায়াত তার সহজ ক্যাচটি ফেলে দিয়ে নতুন জীবন দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। স্যামুয়েলসের পরের বলেই পরের বলেই মিড উইকেটে মার্টিনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে জানিয়ে দিলেন কারও করুণা গ্রহণ করেন না বাবু! শেষ ভরসা ছিল নাসির। তিনিও ফতুল্লার দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ২১ রান করে নাসির যেভাবে স্যামুয়েলসের বলে পুল খেলে উইকেটরক্ষক রামদিনকে ক্যাচ দেন, এই আউটকে বোকামি ছাড়া অন্য কিছু বলাই বাহুল্য।
৪৫ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের জয় দেখতেই গতকাল বড় আশা করে দর্শকরা ফতুল্লা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। কিন্তু তাদের সে আশায় গুড়েবালি। বোলিংয়ে কিছুটা আলো ছড়ালেও ব্যাটিং-ফিল্ডিং ছিল খুবই হতাশার। এক ম্যাচে তিন তিনটি ক্যাচ ফেলে দিলে আর কিবা করার থাকে বোলারদের। অষ্টম ওভারে নিজের বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন আলাউদ্দীন বাবু। দশম ওভারে নাঈমের বলে লং অনে ক্যাচ মিস করে পাওয়েলকে নতুন জীবন দেন সোহাগ গাজী। একটি সহজ ক্যাচ মিস করেছেন শাহরিয়ার নাফিসও। প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হারটা হতে পারে জাতীয় দলের জন্য সতর্ক সংকেত। এই পরাজয় থেকে কিছু শিখতে না পারলে সামনে আবারও যে লজ্জায় পড়তে হবে
ঘোষণা ছাড়াই বেড়েছে ৬৭ রুটের বাস ভাড়া
বেড়ে গেছে দূরপাল্লার ৬৬ জেলার ৬৭ রুটের বাস ভাড়া। গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে নৈরাজ্য। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন গতকাল থেকে দেশের দূরপাল্লার ৬৭ রুটের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করে। ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। টার্মিনালে এসে ভাড়া বেড়ে যাওয়ার খবরে হতাশ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। এবার স্থান ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
অস্বাভাবিকভাবে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে নগরীর টার্মিনালগুলোতে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাস চালক ও শ্রমিকদের অনৈতিক দাবির মুখে তারা প্রতিবাদ করেছেন। আবার কোনো কোনো স্থানে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যাত্রীরাও নাজেহালের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার কামাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সম্প্রতি সরকার সিএনজি ও জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি করায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর জন্য আমাদের সংগঠনকে অনুমোদন দেওয়া হয়। আমরা ২৬ সেপ্টেম্বর সভা করে যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। গতকাল থেকে ওই ভাড়া কার্যকর করেছি। এবারও সাধারণ যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ভাড়া সামান্য বাড়িয়েছি। আশা করছি এ ভাড়া সহনীয়।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, এবার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে_ ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, নরসিংদী, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জ। টার্মিনালগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, বাস-মিনিবাসের মালিকরা যাত্রীদের বাড়তি ভাড়ার টিকিট না দিলেও পুরনো টিকিটের গায়ে সিল মেরে দিচ্ছেন। এভাবেই আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, সরকার যে হারে জ্বালানি তেল বা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে পরিবহন মালিকরা তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে ভাড়া বাড়িয়েছেন।
ভাড়ার বিষয়ে বিআরটিএ সূত্র জানায়, ২১ থেকে ২৮টি কারণ বিবেচনা করে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জ্বালানি তেলের মূল্য প্রায় ১০% বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ঐকিক নিয়মে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তাদের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী বাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৫ পয়সা করে এবং সিএনজিতে ১৪ পয়সা। তবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভাড়া বৃদ্ধির এ হার মানতে নারাজ বাস মালিক সমিতির নেতারা। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুবায়ের নঈম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির আগে তারা লিখিতভাবে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪৫ পয়সা ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। এখন নতুন করে দাম বাড়ায় প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু সরকার ৫ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করার কথা বলছে।
এ হিসাবে এখনো তাদের দাবি অনুযায়ী ৩০ পয়সা কম রয়েছে। সরকার ঘোষিত ভাড়া বৃদ্ধির হার মানলে তাদের প্রতিদিন লোকসান গুনতে হবে। এর আগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ১৯ মে বাস, সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ ও ৫০ পয়সা করে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সে সময় প্রতি কিলোমিটারে বাস ভাড়া ১ টাকা ২০ পয়সার পরিবর্তে ১ টাকা ৫৫ পয়সা এবং মিনিবাসের ভাড়া ১ টাকা ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৪৫ পয়সা করা হয়। দূরপাল্লার ডিজেল চালিত বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ৯৪ ও ৯৭ পয়সার পরিবর্তে ১ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় রায়েরবাজার এলাকার বাসিন্দা ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি বলেন, বগুড়াগামী এসআর পরিবহনে গতকাল টিকিট কেটেছেন ৩০০ টাকা দিয়ে। দু-দিন আগে ওই ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা। একইভাবে নওগাঁর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকার স্থলে ৩৮০ টাকা। জয়পুরহাটের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা। এছাড়া ঢাকা থেকে দিনাজপুরের ভাড়া ছিল ৪০০ টাকা। গতকাল হানিফ ও বাবলু পরিবহনে ওই ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা। সৈয়দপুরের ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা, গতকাল থেকে নেওয়া হচ্ছে ৪৮০ টাকা।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিক পরিবহনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকার জায়গায় ৩৮০ টাকা। বান্দরবানের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকার জায়গায় ৪৮০ টাকা। এছাড়া রাঙ্গামাটির ভাড়া ৪৫০ টাকার জায়গায় ৪৮০ টাকা। যাত্রাবাড়ী এলাকার জনপথ মোড়ের হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজারের টিকিট ৫০০ টাকার জায়গায় ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ বাস টার্মিনালে কথা হয় বাসাবো এলাকার এনামুলের সঙ্গে। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারের নজরদারি না থাকায় বাস ভাড়া বেড়েছে লাগামহীনভাবে। গতকাল তিনি ফেনীর টিকিট কিনেছেন ২৫০ টাকার জায়গায় ৩০০ টাকায়।
মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়েও দেখা গেছে একই চিত্র। ভাড়া বাড়ানোর কারণে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের কমতি নেই। সেখানে আরও দেখা গেছে, একতা পরিবহনে ঢাকা থেকে গাইবান্ধার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকা। রংপুরের ভাড়া ৪০০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা। কুড়িগ্রামের ৪৫০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নীলফামারীগামী আবুল কালাম বলেন, টিকিট কিনতে গিয়ে জানতে পারি টিকিটের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু টিকিটের গায়ে লেখা রয়েছে আগের দাম।
জানতে চাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী হানিফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সৈয়দ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকার জ্বালানি তেল ও সিএনজির দাম বাড়ানোর ফলে যানবাহনের জন্য প্রতি কিলোমিটারে বাসের ভাড়া ৫ পয়সা এবং সিএনজির ভাড়া ১৪ পয়সায় নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটারে ৫ টাকা এবং রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ২৫ থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। এই রেটে বাস চালালে লোকসান গুনতে হবে। সরকার কোনো ধরনের আগাম ঘোষণা না দিয়ে মাত্র চার মাসের ব্যবধানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এটা ভেবেচিন্তে করলে এমনটা হতো না।
অস্বাভাবিকভাবে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে নগরীর টার্মিনালগুলোতে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাস চালক ও শ্রমিকদের অনৈতিক দাবির মুখে তারা প্রতিবাদ করেছেন। আবার কোনো কোনো স্থানে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যাত্রীরাও নাজেহালের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার কামাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সম্প্রতি সরকার সিএনজি ও জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি করায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর জন্য আমাদের সংগঠনকে অনুমোদন দেওয়া হয়। আমরা ২৬ সেপ্টেম্বর সভা করে যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। গতকাল থেকে ওই ভাড়া কার্যকর করেছি। এবারও সাধারণ যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ভাড়া সামান্য বাড়িয়েছি। আশা করছি এ ভাড়া সহনীয়।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, এবার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে_ ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, নরসিংদী, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জ। টার্মিনালগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, বাস-মিনিবাসের মালিকরা যাত্রীদের বাড়তি ভাড়ার টিকিট না দিলেও পুরনো টিকিটের গায়ে সিল মেরে দিচ্ছেন। এভাবেই আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, সরকার যে হারে জ্বালানি তেল বা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে পরিবহন মালিকরা তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে ভাড়া বাড়িয়েছেন।
ভাড়ার বিষয়ে বিআরটিএ সূত্র জানায়, ২১ থেকে ২৮টি কারণ বিবেচনা করে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জ্বালানি তেলের মূল্য প্রায় ১০% বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ঐকিক নিয়মে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তাদের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী বাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৫ পয়সা করে এবং সিএনজিতে ১৪ পয়সা। তবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভাড়া বৃদ্ধির এ হার মানতে নারাজ বাস মালিক সমিতির নেতারা। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুবায়ের নঈম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির আগে তারা লিখিতভাবে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪৫ পয়সা ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। এখন নতুন করে দাম বাড়ায় প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু সরকার ৫ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করার কথা বলছে।
এ হিসাবে এখনো তাদের দাবি অনুযায়ী ৩০ পয়সা কম রয়েছে। সরকার ঘোষিত ভাড়া বৃদ্ধির হার মানলে তাদের প্রতিদিন লোকসান গুনতে হবে। এর আগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ১৯ মে বাস, সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ ও ৫০ পয়সা করে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সে সময় প্রতি কিলোমিটারে বাস ভাড়া ১ টাকা ২০ পয়সার পরিবর্তে ১ টাকা ৫৫ পয়সা এবং মিনিবাসের ভাড়া ১ টাকা ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৪৫ পয়সা করা হয়। দূরপাল্লার ডিজেল চালিত বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ৯৪ ও ৯৭ পয়সার পরিবর্তে ১ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় রায়েরবাজার এলাকার বাসিন্দা ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি বলেন, বগুড়াগামী এসআর পরিবহনে গতকাল টিকিট কেটেছেন ৩০০ টাকা দিয়ে। দু-দিন আগে ওই ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা। একইভাবে নওগাঁর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকার স্থলে ৩৮০ টাকা। জয়পুরহাটের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা। এছাড়া ঢাকা থেকে দিনাজপুরের ভাড়া ছিল ৪০০ টাকা। গতকাল হানিফ ও বাবলু পরিবহনে ওই ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা। সৈয়দপুরের ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা, গতকাল থেকে নেওয়া হচ্ছে ৪৮০ টাকা।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিক পরিবহনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকার জায়গায় ৩৮০ টাকা। বান্দরবানের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকার জায়গায় ৪৮০ টাকা। এছাড়া রাঙ্গামাটির ভাড়া ৪৫০ টাকার জায়গায় ৪৮০ টাকা। যাত্রাবাড়ী এলাকার জনপথ মোড়ের হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজারের টিকিট ৫০০ টাকার জায়গায় ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ বাস টার্মিনালে কথা হয় বাসাবো এলাকার এনামুলের সঙ্গে। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারের নজরদারি না থাকায় বাস ভাড়া বেড়েছে লাগামহীনভাবে। গতকাল তিনি ফেনীর টিকিট কিনেছেন ২৫০ টাকার জায়গায় ৩০০ টাকায়।
মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়েও দেখা গেছে একই চিত্র। ভাড়া বাড়ানোর কারণে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের কমতি নেই। সেখানে আরও দেখা গেছে, একতা পরিবহনে ঢাকা থেকে গাইবান্ধার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকা। রংপুরের ভাড়া ৪০০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা। কুড়িগ্রামের ৪৫০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নীলফামারীগামী আবুল কালাম বলেন, টিকিট কিনতে গিয়ে জানতে পারি টিকিটের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু টিকিটের গায়ে লেখা রয়েছে আগের দাম।
জানতে চাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী হানিফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সৈয়দ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকার জ্বালানি তেল ও সিএনজির দাম বাড়ানোর ফলে যানবাহনের জন্য প্রতি কিলোমিটারে বাসের ভাড়া ৫ পয়সা এবং সিএনজির ভাড়া ১৪ পয়সায় নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটারে ৫ টাকা এবং রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ২৫ থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। এই রেটে বাস চালালে লোকসান গুনতে হবে। সরকার কোনো ধরনের আগাম ঘোষণা না দিয়ে মাত্র চার মাসের ব্যবধানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এটা ভেবেচিন্তে করলে এমনটা হতো না।
৪৫ দিনে শেখ হাসিনাকে সাজা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা দুর্নীতি মামলা ৪৫ দিনের মধ্যে শেষ করে সাজা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানান।
২০০৭ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো তৎকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পাসি'র তারবার্তা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৩০ আগস্ট উইকিলিকসে ফাঁস করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই লাখ গোপন নথির মধ্যে গীতা পাসির ওই তারবার্তাটিও রয়েছে।
তারবার্তায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি ও হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করে। এর পরদিনই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতার ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। জেনারেল আমিন এ সময় দূতাবাস কর্মকর্তাদের জানান, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যেই দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যেই মামলাটি নিষ্পত্তি করে সাজা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও অন্তত ২০টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে একসঙ্গে ১০-১২ ব্যক্তিকে হত্যার একটি মামলাও রয়েছে।
তারবার্তায় আরও বলা হয়, আমিন আরও জানান, সরকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছিল। এ ব্যাপারে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরেই ঘোষণা দেওয়া হতো। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে দেশ পরিচালনার জন্য ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদ পাওয়া যাবে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যায় সরকার। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্যান্য দলের নেতাদের মতো জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েননি বলেই তারা গ্রেফতারের আওতায় পড়েনি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, উদীয়মান নেতারা অদূর ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামীকে সহনশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলবে।
২০০৭ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো তৎকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পাসি'র তারবার্তা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৩০ আগস্ট উইকিলিকসে ফাঁস করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই লাখ গোপন নথির মধ্যে গীতা পাসির ওই তারবার্তাটিও রয়েছে।
তারবার্তায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি ও হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করে। এর পরদিনই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতার ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। জেনারেল আমিন এ সময় দূতাবাস কর্মকর্তাদের জানান, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যেই দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যেই মামলাটি নিষ্পত্তি করে সাজা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও অন্তত ২০টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে একসঙ্গে ১০-১২ ব্যক্তিকে হত্যার একটি মামলাও রয়েছে।
তারবার্তায় আরও বলা হয়, আমিন আরও জানান, সরকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছিল। এ ব্যাপারে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরেই ঘোষণা দেওয়া হতো। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে দেশ পরিচালনার জন্য ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদ পাওয়া যাবে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যায় সরকার। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্যান্য দলের নেতাদের মতো জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েননি বলেই তারা গ্রেফতারের আওতায় পড়েনি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, উদীয়মান নেতারা অদূর ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামীকে সহনশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলবে।
'দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন স্বপ্নই থাকবে'
Fri, Oct 7th, 2011 1:59 pm BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
তার দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কা থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সংবিধান পরিবর্তন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন শুক্রবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন, "তারা ২ বছর ৯ মাসে বুঝতে পেরেছে, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের অধিকাংশ স্থানে জামানতই থাকবে না। তাই তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জন্য একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করেছে।"
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর বর্তমান বিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, যা নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে।
মঈন খান বলেন, "আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে। তাদের এই স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।"
নির্বাাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের বক্তব্যকে 'পুরনো বোতলে নতুন মদ' বলে অভিহিত করেন সাবেক মন্ত্রী মঈন।
তিনি বলেন, "এটা সরকারের ধোঁকাবাজি চাল, জনগণ তা বুঝে গেছে। তারা (সরকার) কখনো দলীয় সরকার, কখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।"
জাতীয় প্রেসক্লারের সামনে 'ভারত ও মিয়ানমার কর্তৃক বাংলাদেশের ভূমি দখল, সীমান্তে নাগরিক হত্যা, অপহরণসহ সব আগ্রাসন'র প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেন মঈন।
সরকার দেশের স্বার্থ দেখছে না দাবি করে তিনি বলেন, "আমরা তিস্তার পানি পাইনি। কিন্তু এ সরকার ভারতকে করিডোর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে যে সব ট্রাক ও কনটেইনার যাবে, তাতে কী থাকবে, তা দেখার কোনো অধিকার বাংলাদেশের নেই।"
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডেরও নিন্দা জানান তিনি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, শামীমুর রহমান শামীম, আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
জীবন গেলেও আন্দোলন থামবে না: ফারুক
Fri, Oct 7th, 2011 9:44 pm BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপির সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে জয়নুল আবদিন সাংবাদিকদের বলেন, "শত নির্যাতন করেও আমাকে আন্দোলন থেকে সরাতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। সরকার আমার ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বলতে চাই- জীবন গেলেও আমাকে আমার নেত্রীর কাছ থেকে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে সরাতে পারবে না।"
গত ৬ জুলাই বিএনপির ডাকা হরতালের সময় সংসদ ভবনের সামনে পুলিশের পিটুনিতে আহত হন ফারুক। এ সময় হারুন ছাড়াও মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার বিপ্লব সরকারও আহত হন বলে দাবি করে পুলিশ।
এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে ফারুকের ওপর হামলা ও তাকে পেটানোর অভিযোগে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। অপর দিকে ফারুকের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করার কথা সংসদকে জানান।
এরপর ১৩ জুলাই রাতে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ফারুক। এর আগে ইউনাইটেড হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শুক্রবার রাতে দেশে ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারিনি। আমার জন্য দোয়া করবেন।"
'পুলিশি নির্যাতনের পর' খোঁজখবর নেওয়ায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফারুক।
বিমান বন্দরের বাইরে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মাহবুবউদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সস্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্র দল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ দলীয় সাংসদরা ফুল দিয়ে ফারুককে স্বাগত জানান।
৯০ বছরে ঢাবি বাংলা বিভাগ
Fri, Oct 7th, 2011 11:48 pm BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা অ্যালামনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গত ছয় দশকে এই বিভাগ থেকে øাতক হওয়া শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
বাংলা অ্যালামনাইয়ের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। প্রায় ৫০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে যাওয়া আটজন সাবেক শিক্ষার্থীকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেওয়া হবে।
তিনি জানান, শনিবার সকাল ১০টায় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
বাংলা বিভাগের চেয়ারপারসন সিদ্দিকা মাহমুদের সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হবে ইতিহাস কথন। মধ্যাহ্নভোজের পর হবে স্মৃতিচারণ পর্ব। এতে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সন্ধ্যায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় অন্য এগারোটি বিভাগের সঙ্গে সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ নামে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর কখনো সংস্কৃতের সঙ্গে, আবার কখনো আলাদাভাবে এগিয়েছে এই বিভাগের পথ চলা।
প্রতিষ্ঠার সময় বিভাগে যোগদানকারী চার শিক্ষকের মধ্যে শুধু মুহম্মদ শহীদুল্লাহই ছিলেন বাংলার। তবে বাংলা ভাষার পক্ষে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় বিভাগে বাংলাই প্রধান হয়ে ওঠে।
বাংলা বিভাগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, আরবি হরফে বাংলা লেখার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন, ষাটের দশকের আন্দোলনসহ দেশের স্বাধিকার আন্দোলনের সবগুলো পর্যায়ে এ বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকরা ছিলেন অগ্রণী ভূমিকায়।"
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যার অংশ হিসেবে বাংলা বিভাগের তিন শিক্ষক মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ও আনোয়ার পাশাকে হত্যা করা হয়।
একাত্তরে এ বিভাগের শিক্ষার্থী আ ন ম গোলাম মোস্তফা, জাহাঙ্গীর মুনীর, নজরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল শাহরিয়ার ও আজমালুল হকও শহীদ হয়েছিলেন।
প্রতিষ্ঠার সময় সংস্কৃতির সঙ্গে থাকলেও ১৯৩৭ সালে আলাদা নামে আত্মপ্রকাশ করে বাংলা বিভাগ। ১৯৫০ সালে আবার ফিরে আসে আগের অবস্থানে। ১৯৭০ সালে বাংলা থেকে আলাদা হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সংস্কৃত ও পালি বিভাগ।
বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সিদ্দিকা মাহমুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলা বিভাগ এদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষা, স্বাধীকার আন্দোলনসহ সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।
"৯০ বছর পার করে এখন পিছনে তাকালে মনে হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ যেন বাংলা ভাষার ধারকে পরিণত হয়েছে।"
শনিবারের অনুষ্ঠানে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অধ্যাপক আশরাফ হোসেন সিদ্দিকী (১৯৫০), অধ্যাপক কাজী দীন মুহম্মদ (১৯৪৯), অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১৯৫০), অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (১৯৫১), রওশন আরা রহমান (১৯৫৩), অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম (১৯৫৪), অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম (১৯৫৪) এবং অধ্যাপক আশরাফ ফারুকীকে (১৯৫৪) সম্মানা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ময়মনসিংহে ২৫ অক্টোবর খালেদার জনসভা
Fri, Oct 7th, 2011 8:56 pm BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
২৫ অক্টোবর বিকালে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেনে তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা নেতাদের নিয়ে এক বৈঠকে এই জনসভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকের সভাপতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ময়মনসিংহ জনসভা সফল করতে জেলা নেতাদের প্রচার চালানো এবং প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল হালিম, এম এ কাইয়ুম, আহমেদ আজম খান, হায়দার আলী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, সহ প্রচার সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ জেলা উত্তরের সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেন, দক্ষিণের সভাপতি আফজাল এইচ খান, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার, নেত্রকোনোর সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান, কিশোরগঞ্জের সভাপতি ফজলুর রহমান, শেরপুরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম কালাম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে যুব দল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম সভায় অংশ নেন।
ময়মনসিংহের কর্মসূচির আগে ১০ অক্টোবর সিলেট এবং ১৮ অক্টোবর রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ করবে বিএনপি। ১১ অক্টোবর সিলেট শহরে বিএনপির জনসভায় বক্তৃতা দেবেন খালেদা জিয়া।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে সমমনাদের নিয়ে এক সমাবেশ থেকে রোডমার্চের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা। পরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রোড মার্চের পর 'ফাইনাল ম্যাচের' প্রস্তুতি শুরু করবে বিএনপি।
রোড মার্চ
সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, "সিলেট ও রাজশাহী রোড মার্চ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। আমাদের অগ্রগামী টিমগুলো পথসভা ও জনসভার স্থলগুলো পরিদর্শন করছেন। স্থানীয় লোকজনের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।"
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুণর্বহালের 'গণদাবি' নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই রোড মার্চ হচ্ছে।
গত ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। বিএনপি শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। খালেদা জিয়া এরইমধ্যে বলেছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের অধীনে না হলে তার দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না।
নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন তিন নারী
Fri, Oct 7th, 2011 3:53 pm BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
নোবেল কমিটি শুক্রবার এ পুরস্কার বিজয়ী হিসাবে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন-সারলিফ এবং স্বদেশী লেমা বোয়িসহ ইয়েমেনের নারী অধিকার ও গণতন্ত্রপন্থি কর্মী তাওয়াকুল কারমান এর নাম ঘোষণা করেছে।
নারীর নিরাপত্তা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের অধিকার আদায়ে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা এ পুরস্কার পেলেন।
সারলিফ (৭২) আফ্রিকার প্রথম নির্বাচিত নারী রাষ্ট্রপ্রধান। লাইবেরিয়ায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর ২০০৫ সালে তিনি লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আফ্রিকায় রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীদের পথ দেখিয়েছেন তিনি।
নোবেল বিজয়ী অপর লাইবেরীয় লেমা বোয়ি (৩৯) একজন শান্তি কর্মী। তিনি গৃহযুদ্ধের সহিংসতার কড়া সমালোচক।
লাইবেরিয়ায় গৃহযুদ্ধকালে এবং পরবর্তী সময়ে নারীদের বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য কাজ করেছেন বোয়ি। শান্তিতে নারীদের আরো সক্রিয় ভূমিকা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকারের জন্যও তিনি সংগ্রাম করে এসেছেন।
ওদিকে, তাওয়াকুল কারমান (৩২) ইয়েমেনে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। আরব বিশ্বে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ইয়েমেনে নারী অধিকারের জন্য সংগ্রামে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য কারমান স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এ তিন নারীকে পুরস্কৃত করে উন্নয়নশীল বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নের আন্দোলনের পক্ষেই বলিষ্ঠ রায় দিলো নোবেল কমিটি। আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলোয় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
অসলোয় পুরস্কার ঘোষণা করে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান থরবোয়ের্ন জ্যাগল্যান্ড বলেন, "সমাজের সর্বস্তরে উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও একই সুযোগ-সুবিধা না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বে স্থায়ী শান্তি ও গণতন্ত্র আসতে পারে না।"
তিনি আরো বলেন, "বিশ্বের বহু দেশে এখনো নারীর ওপর যে নিপীড়ন চলছে এ পুরস্কার তার অবসান ঘটাবে এবং গণতন্ত্র ও শান্তির জন্য নারীর অবদানের অপার সম্ভাবনা অনুধাবন করা সম্ভব হবে বলেই নোবেল কমিটি আশা করে।"
শান্তিতে নোবেলের আগে বৃহস্পতিবার সাহিত্যে এক সুইডিশ কবি, বুধবার রসায়নে ইসরায়েলি এক গবেষক, মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন জন এবং সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও কানাডার তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়।
সিলেটে চার ভারতীয় শিক্ষার্থীসহ ৫ জন 'নিখোঁজ'
Sat, Oct 8th, 2011 1:35 am BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাদের চার শিক্ষার্থীকে নিয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যদিও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি। অন্যদিকে এক চিকিৎসকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) নাজমুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে মোঃ আশরাফ, আমির, তসির নামে তিন ভারতীয় ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে নিয়ে যায় আরো একজনকে।
চতুর্থ ছাত্রের নাম জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, এরা সবাই ভারতের জম্মু-কাশ্মীর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল জানান, অজ্ঞাত পরিচয় দুজন লোক বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে এসে মেডিকেল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট (সিএ) রশিদ আহমদকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা জানান, রশিদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডা. রশিদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তাই প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমার ওসি আবু শ্যামা ইকবাল হায়াত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
কারা এদের কোথায় নিয়ে গেছে সে বিষয়ে সিলেটের র্যাব বা পুলিশ কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোয়াহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।"
অবশ্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, দিল্লী হাইকোর্টে বোমা হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ইউনানী মেডিকেলে লেখাপড়া করা এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের ফটকে বোমাহামলায় ১৫ জন নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন ওই হামলা চালায় বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার তাদের অনলাইন সংস্করণে জানায়, বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সে দেশের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (এনআইএ) গোয়েন্দারা ওয়াসিম আহমেদ নামের এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ইউনানি চিকিৎসায় বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন।
ওয়াসিমকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এনআইএ কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। তবে তারা মনে করছেন, ওই হামলার পরিকল্পনায় জানতে ওয়াসিম একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
সিলেটে চার ভারতীয় শিক্ষার্থীসহ ৫ জন 'নিখোঁজ'
Sat, Oct 8th, 2011 1:35 am BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাদের চার শিক্ষার্থীকে নিয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যদিও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি। অন্যদিকে এক চিকিৎসকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) নাজমুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জানান, বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে মোঃ আশরাফ, আমির, তসির নামে তিন ভারতীয় ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে নিয়ে যায় আরো একজনকে।
চতুর্থ ছাত্রের নাম জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, এরা সবাই ভারতের জম্মু-কাশ্মীর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল জানান, অজ্ঞাত পরিচয় দুজন লোক বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে এসে মেডিকেল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট (সিএ) রশিদ আহমদকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা জানান, রশিদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডা. রশিদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তাই প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমার ওসি আবু শ্যামা ইকবাল হায়াত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
কারা এদের কোথায় নিয়ে গেছে সে বিষয়ে সিলেটের র্যাব বা পুলিশ কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোয়াহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।"
অবশ্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, দিল্লী হাইকোর্টে বোমা হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ইউনানী মেডিকেলে লেখাপড়া করা এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের ফটকে বোমাহামলায় ১৫ জন নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন ওই হামলা চালায় বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার তাদের অনলাইন সংস্করণে জানায়, বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সে দেশের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (এনআইএ) গোয়েন্দারা ওয়াসিম আহমেদ নামের এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ইউনানি চিকিৎসায় বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন।
ওয়াসিমকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এনআইএ কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। তবে তারা মনে করছেন, ওই হামলার পরিকল্পনায় জানতে ওয়াসিম একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
ওএমএসে আটা বিক্রি বাড়ানোর নির্দেশ
ঢাকা, অক্টোবর ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- খোলা বাজারে নায্য মূল্যে আটা বিক্রি (ওএমএস) বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
ঢাকা শহরে প্রতিটি ট্রাকে কমপক্ষে ৫০০ কেজি আটা বিক্রি বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি জেলা শহরে চাহিদার ভিত্তিতে আটা বিক্রির পরিমাণ দিনে ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ টন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ওএমএস কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে ঢাকা শহরের ২০০টি ট্রাকসহ সারাদেশে ৯২২ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস কর্মসূচি চলছে। ঢাকা শহরের বাইরে প্রত্যেক জেলায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টন করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
ওএমএস কার্যক্রমে প্রতি কেজি চাল ২৪ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়, সেজন্য মাঠ পর্যায়ের তদারকি কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয় সভায়। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে নিয়মিতভাবে তদারকি করারও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে সরকারি গুদামে ১২ লাখ ২৫ হাজার টন চাল এবং দুই লাখ ৩২ হাজার টন গম মজুদ রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে গত তিন মাসে এক লাখ চার হাজার টন গম আমদানি হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এনায়েত হোসেন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব খন্দকার আতিয়ার রহমান, মইনুল হক, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকরা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা শহরে প্রতিটি ট্রাকে কমপক্ষে ৫০০ কেজি আটা বিক্রি বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি জেলা শহরে চাহিদার ভিত্তিতে আটা বিক্রির পরিমাণ দিনে ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ টন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ওএমএস কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে ঢাকা শহরের ২০০টি ট্রাকসহ সারাদেশে ৯২২ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস কর্মসূচি চলছে। ঢাকা শহরের বাইরে প্রত্যেক জেলায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টন করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
ওএমএস কার্যক্রমে প্রতি কেজি চাল ২৪ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়, সেজন্য মাঠ পর্যায়ের তদারকি কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয় সভায়। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে নিয়মিতভাবে তদারকি করারও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে সরকারি গুদামে ১২ লাখ ২৫ হাজার টন চাল এবং দুই লাখ ৩২ হাজার টন গম মজুদ রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে গত তিন মাসে এক লাখ চার হাজার টন গম আমদানি হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এনায়েত হোসেন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব খন্দকার আতিয়ার রহমান, মইনুল হক, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকরা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
'শিশুদের দেশপ্রেমও শেখাতে হবে'
Sat, Oct 8th, 2011 2:48 am BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় 'কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার' ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, "শিশুদের চারিত্রিক এবং মানসিক বৃদ্ধিতে শিল্প ও সাংস্কৃতিক চর্চার গুরুত্ব অনেক। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে।"
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জাতীয় শিশুনীতি ২০১১ ঘোষণা করেছে। এ নীতি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী শিশু, কন্যা শিশু, পথশিশু এবং শ্রমজীবী শিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকার কাজ করছে।
অন্যদের মধ্যে সংগঠনের পরিচালক খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, সহ সভাপতি রুবি রহমান, মোফাবেজা খানম মুস্তারী আলোচনায় অংশ নেন।
এরপর প্রতিমন্ত্রী শিশুদের গল্পবলা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণীর পর সংগঠনের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর কবি সুফিয়া কামাল, রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই, আব্দুল্লাহ আল মুতি এবং অজিৎ গুহর মতো ব্যক্তিদের হাত ধরে কচি-কাঁচার মেলা যাত্রা শুরু করে।
রাজধানীতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঢাকা, অক্টোবর ০৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজধানীর কদমতলীতে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
ওই গৃহবধূর নাম তারানা ইসলাম দৃষ্টি (১৯)। তার স্বামী জিতু মাদকাসক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দৃষ্টির বাবা তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জিতুর ভাই সেতু শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে তাদের বাসায় এসে জানায়, তার ভাবি অসুস্থ। তখন জিতুর কদমতলীর বাসায় গিয়ে দৃষ্টিকে খাটের ওপর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। সকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ১৯ জুলাই জিতুর সঙ্গে দৃষ্টির বিয়ে হয় জানিয়ে তাজুল বলেন, "বিয়ের পর জানা যায় জিতু মাদকাসক্ত। সেই গত রাতে দৃষ্টিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।"
কদমতলী থানার ওসি শফিকুল ইসলামও জানিয়েছেন, জিতু নিয়মিত মাদক নিতো বলে জানতে পেরেছেন তারা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।"
ওই গৃহবধূর নাম তারানা ইসলাম দৃষ্টি (১৯)। তার স্বামী জিতু মাদকাসক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দৃষ্টির বাবা তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জিতুর ভাই সেতু শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে তাদের বাসায় এসে জানায়, তার ভাবি অসুস্থ। তখন জিতুর কদমতলীর বাসায় গিয়ে দৃষ্টিকে খাটের ওপর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। সকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ১৯ জুলাই জিতুর সঙ্গে দৃষ্টির বিয়ে হয় জানিয়ে তাজুল বলেন, "বিয়ের পর জানা যায় জিতু মাদকাসক্ত। সেই গত রাতে দৃষ্টিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।"
কদমতলী থানার ওসি শফিকুল ইসলামও জানিয়েছেন, জিতু নিয়মিত মাদক নিতো বলে জানতে পেরেছেন তারা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।"
চট্টগ্রামে শিবির কার্যালয় থেকে অস্ত্র উদ্ধার
Sat, Oct 8th, 2011 3:10 am BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে নগরীর বাকলিয়ায় শিবিরের মহানগর কার্যালয়ে প্রায় এক ঘণ্টা এ অভিযান চলে।
এর আগে শুক্রবার বিকালে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ের অফিস সহকারী মতিউর রহমানকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পাঁচলাইশ ও কোতয়ালী থানা এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে শিবির কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর পুলিশের ওপর জামায়াতে ইসলামী ও শিবির কর্মীদের হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে মতিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওইদিন জামায়াত ও শিবির কর্মীদের হামলায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল মান্নানসহ চার পুলিশ আহত হন। রাতেই নগর জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করে পুলিশ।
একইদিনে ঢাকাতেও পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, "ভিডিও ফুটেজে এসি আবদুল মান্নানের ওপর হামলাকারীর হতে একটি বন্দুক দেখা যায়। মতিউরকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে জানায়, বন্দুকটি ছাত্রশিবির কার্যালয়ে রাখা আছে। এরপর সেখানে অভিযান চালানো হয়।"
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল বলেন, "মতিউর রহমান ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। পাশাপাশি নগর জামায়াত কার্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন তিনি।"
১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বকর রফিককে ২৬ সেপ্টেম্বর 'শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর' থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Friday, October 7, 2011
জগন্নাথে প্রতি আসনের জন্য লড়বে ৪৯ শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্টোবর ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় এবার প্রতি আসনের জন্য লড়বে ৪৯ শিক্ষার্থী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৭২০টি। এবার মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ঘ ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানান তিনি।
ঘ ইউনিটে ৫৫৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৩ হাজার ৮১৪ টি। এই ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ৬১ জন পরীক্ষার্থী ।
বিজ্ঞান অনুষদের জন্য নির্ধারিত ক ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে গড়ে ৩৬ জন। এ ইউনিটে ৭৯৫ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৮ হাজার ৩৭৬টি।
কলা অনুষদে ভর্তির জন্য নির্ধারিত খ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ৪৭ জন। এ ইউনিটে ৭১০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ভর্তির জন্য গ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ৫৬ জন। গ ইউনিটে ৬৬০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩৬ হাজার ৬০২টি।
আগামী ১৪ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। বিরতি দিয়ে তা চলচে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৭২০টি। এবার মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ঘ ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানান তিনি।
ঘ ইউনিটে ৫৫৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৩ হাজার ৮১৪ টি। এই ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ৬১ জন পরীক্ষার্থী ।
বিজ্ঞান অনুষদের জন্য নির্ধারিত ক ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে গড়ে ৩৬ জন। এ ইউনিটে ৭৯৫ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৮ হাজার ৩৭৬টি।
কলা অনুষদে ভর্তির জন্য নির্ধারিত খ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ৪৭ জন। এ ইউনিটে ৭১০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ভর্তির জন্য গ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ৫৬ জন। গ ইউনিটে ৬৬০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩৬ হাজার ৬০২টি।
আগামী ১৪ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। বিরতি দিয়ে তা চলচে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
'চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের চাকরি বাতিল নয় কেন'
Tue, Oct 4th, 2011 11:16 pm BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ দেখিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দুই বছর চাকরির সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে প্রজ্ঞাপনটি কেন বাতিল করা হবে না এ মর্মে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক সালমা মাসুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ একটি রিট পিটিশনের শুনানির পর গত সোমবার এ আদেশ দেয়।
হাইকোর্টে জনস্বার্থে এ রিট পিটিশনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি আব্দুল্লাহ আসাদ।
এ মামলায় অভিযুক্ত নুরুল হুদা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আরো চারজনকে বিবাদি করা হয়েছে।
অন্যরা হলেন- শিক্ষা মন্ত্রাণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।
গত বছরের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম বোর্ডের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নরুল হুদার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর চলতি বছরের ৩ মে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা হিসেবে বিএসএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে তার চাকরির মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি কর হয়।
আনন্দে ভাসছে জগন্নাথ
Thu, Oct 6th, 2011 2:05 am BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ওই বৈঠকেই জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ে সরকারি অর্থায়ন বন্ধ সংক্রান্ত আইনের ২৭ (৪) ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। চলে মিষ্টিমুখ করানোর পালা।
"আমি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- এটা ভেবেই আনন্দ লাগছে", আনন্দ মিছিল থেকে বলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম।
বাংলা বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র শফিউল্লাহ বলেন, "পুলিশের মারপিট ও ধর-পাকড় উপেক্ষা করে আমাদের এই আন্দোলন সফল হওয়ায় আমরা অনেক খুশি।"
একই বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী মনজিত মিত্র বলেন, "আমাদের দাবি মেনে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই।"
রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লুৎফার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "খবর পেয়েই আমি ক্যাম্পাসে ছুটে যাই এবং ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেই।"
"প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে এমন সমাধান দেবেন বলেই প্রত্যাশা ছিলো। তার বাস্তবায়ন ঘটেছে আজ", যোগ করেন তিনি।
এই আন্দোলন সফল হওয়ায় শুধু আনন্দই নয়, স্বস্তিও মিলেছে অনেক শিক্ষার্থীর।
গ্রেপ্তার আতঙ্ক থেকে মুক্ত হয়েছেন উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র বিল্লাল হোসেন বলেন, "অনেকদিন ধরে চাপের মুখে ছিলাম। এখন স্বস্তি বোধ করছি।"
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও ঘোষণার পর উল্লাস করেছে ছাত্রলীগও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করে তারা।
প্রধানমন্ত্রীয় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ব্যতিক্রমী ওই আইনের ফলে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় পরিবারকে যে কালো মেঘ ঘিরে ছিলো- প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে তা কেটে গেছে। এ জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।"
তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের সব সমস্যার সমাধানের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতা দেখিয়েছেন।
১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ কলেজকে ২০০৫ সালে একটি আইনের মাধ্যমে পাবলিক বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। তবে এর আইনের ২৭ (৪) ধারায় বলা হয়- পাঁচ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়ভার তাদের নিজেদেরই বহন করতে হবে।
ওই আইন সংশোধনের দাবিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। সেদিন হাইকোর্ট ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করলে শুরু হয় গাড়ি-ভাংচুর।
টানা চারদিন আন্দোলনের পর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেভাগে পূজার ছুটি দিয়ে ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেয়।
তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলন চালিয়ে যায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন এবং ব্লগার-অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা।
বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পরে জামিনে ছাড়া পান তারা।
এরইমধ্যে উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন সঙ্কট নিরসনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করেন। তারাও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
এরপর বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেই কাক্সিক্ষত সেই ঘোষণা আসে।
সার্ফিংয়ে সোনা জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের
ঢাকা, অক্টোবর ৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - দক্ষিণ এশিয়ান বিচ গেমসের সার্ফিংয়ে সোনা জয়ের প্রত্যাশা বাংলাদেশের। এই লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ২৯ সদস্যের বাংলাদেশ দল।
শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ অংশ নেবে ফুটবল, কাবাডি, সাঁতার, শরীর গঠন ও সার্ফিংয়ে।
ঢাকা থেকে রওনা দেয়ার আগে দলনেতা শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, "সার্ফিংয়ে আমরা সোনা জিতবো বলে আশাবাদী। মহিলা কাবাডিতেও ভালো ফলের প্রত্যাশা রয়েছে। কারণ গত বছর এশিয়ান বিচ গেমসে মহিলা কাবাডি দল ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলো।"
সার্ফিংয়ে মূলত জাফর আহমেদই বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশের পদক পাওয়ার সবচেয়ে জোরালো সম্ভাবনা। দেশ ছাড়ার আগে জাফর জানান, "দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আশা করি দেশবাসীকে হতাশ করবো না।"
দূরপাল্লার সাঁতারে ১২ কিলোমিটার বিভাগে অংশ নেবেন পলাশ চৌধুরী। এর আগে তিনি ভারতে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
কোনো লক্ষ্যের কথা না বললেও ফুটবলে ভালো কিছু করা সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, "এর আগে আমরা কখনো বিচ ফুটবল খেলিনি। প্রথম বারের মতো এ ধরনের ফুটবল খেলবো আমরা। চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার। হয়তো ভালো ফল নিয়ে ফিরতেও পারি।"
গেমসে আটটি দেশ অংশ নিলেও ফুটবলে কয়টি দল খেলবে তা এখনো জানাতে পারেনি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। বিওএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) এম ওয়ালিউল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, "এখনও সূচি ঠিক হয়নি। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না ফুটবলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা থাকছে।"
শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ অংশ নেবে ফুটবল, কাবাডি, সাঁতার, শরীর গঠন ও সার্ফিংয়ে।
ঢাকা থেকে রওনা দেয়ার আগে দলনেতা শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, "সার্ফিংয়ে আমরা সোনা জিতবো বলে আশাবাদী। মহিলা কাবাডিতেও ভালো ফলের প্রত্যাশা রয়েছে। কারণ গত বছর এশিয়ান বিচ গেমসে মহিলা কাবাডি দল ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলো।"
সার্ফিংয়ে মূলত জাফর আহমেদই বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশের পদক পাওয়ার সবচেয়ে জোরালো সম্ভাবনা। দেশ ছাড়ার আগে জাফর জানান, "দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আশা করি দেশবাসীকে হতাশ করবো না।"
দূরপাল্লার সাঁতারে ১২ কিলোমিটার বিভাগে অংশ নেবেন পলাশ চৌধুরী। এর আগে তিনি ভারতে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
কোনো লক্ষ্যের কথা না বললেও ফুটবলে ভালো কিছু করা সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, "এর আগে আমরা কখনো বিচ ফুটবল খেলিনি। প্রথম বারের মতো এ ধরনের ফুটবল খেলবো আমরা। চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার। হয়তো ভালো ফল নিয়ে ফিরতেও পারি।"
গেমসে আটটি দেশ অংশ নিলেও ফুটবলে কয়টি দল খেলবে তা এখনো জানাতে পারেনি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। বিওএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) এম ওয়ালিউল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, "এখনও সূচি ঠিক হয়নি। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না ফুটবলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা থাকছে।"
দিনভর সূচকে ওঠানামা
ঢাকা, অক্টোবর ৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) Ñ সপ্তাহের শেষদিনের লেনদেনে গ্রাফের পুরোটা জুড়ে ওঠানামা করেছে সূচক। লেনদেন শেষে ডিএসই সাধারণ সূচকে যোগ হয়েছে ১ পয়েন্ট।
বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক শুন্য দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭২৭ দশমিক ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেনের শুরুটা হয়েছিল সূচকের ওঠার মধ্য দিয়ে। সূচক সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৭১ পয়েন্টে উঠেছিল বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে। তারপর তা কমতে শুরু করে। বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ডিএসই সাধারণ সূচক গতদিনের চেয়ে কমে যায়। তবে দুইটার পর থেকে আবার ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে সূচক।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ৯০টির এবং বদলায়নি ১৬টির। লেনদেন হয়েছে ২৯৬ কোটি টাকা।
ঢাকায় না কমলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কিছুটা কমেছে। সিএসই সার্বিক সূচক ৭৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬১৫৫ দশমিক ১৩ পয়েন্ট। বাছাই সূচক (সিএসসিএক্স) ৫৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩২৮ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট।
বুধবার সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ড। লেনদেন হওয়া ১৭৯ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫ টির, কমেছে ৮৯টি, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গ্রামীণ ফোন, ইস্টার্ন হাউজিং, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, বেক্সিমকো, ন্যাশনাল ব্যাংক, বিডিথাই, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা ও সিটি ব্যাংক।
দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে রহিমা ফুড, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, সাফকো স্পিনিং, এমবি ফার্মা, ইমামবাটন, জুট স্পিনিং, ন্যাশনাল পলিমার, পুরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স, ৫ম আইসিবি, সোনারগাঁও ইন্সুরেন্স।
অপরদিকে দাম কমার শীর্ষে রয়েছে মর্ডান ডাইং, ফার্মা এইডস, জেমিনি সীফুড, স্ট্যাইলক্রাফট, মুন্ন স্টাফলার্স, রেকিট বেনিকজার, আইসিবি ফাস্ট এনআরবি, বার্জার পেইন্টস ও ফার্স্ট বিএসআরএস ফান্ড।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপূজার ছুটির কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার ডিএসই সাধারণ সূচক ৩৭ দশমিক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ৭২৬ দশমিক ৮২ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ২৮৫ কোটি ২১ লাখ টাকার। ১১ সেপ্টেম্বরের পর এটিই সর্বনিু লেনদেন।
মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৫৩টির এবং বদলায়নি ১৭টির।
সোমবারের লেনেদেনে সাধারণ সূচক ১৩৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমেছিল। রোববার সপ্তাহের প্রথমদিনের লেনদেনে সাধারণ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে।
নানা উদ্যোগের পর গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন বাড়ে ডিএসইতে। গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই সাধারণ সূচক ২৫৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয় ৫ হাজার ৯১০ দশমিক ২০ পয়েন্ট।
তার আগের সপ্তাহে ডিএসই সাধারণ সূচক ৩১৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে হয়েছিল ৫ হাজার ৬৫২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার।
গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে এবং মার্জিন ঋণ নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে 'বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল' নামে একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
এ ছাড়া গত সপ্তাহে সংশোধিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতি নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক শুন্য দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭২৭ দশমিক ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেনের শুরুটা হয়েছিল সূচকের ওঠার মধ্য দিয়ে। সূচক সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৭১ পয়েন্টে উঠেছিল বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে। তারপর তা কমতে শুরু করে। বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ডিএসই সাধারণ সূচক গতদিনের চেয়ে কমে যায়। তবে দুইটার পর থেকে আবার ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে সূচক।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ৯০টির এবং বদলায়নি ১৬টির। লেনদেন হয়েছে ২৯৬ কোটি টাকা।
ঢাকায় না কমলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কিছুটা কমেছে। সিএসই সার্বিক সূচক ৭৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬১৫৫ দশমিক ১৩ পয়েন্ট। বাছাই সূচক (সিএসসিএক্স) ৫৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩২৮ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট।
বুধবার সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ড। লেনদেন হওয়া ১৭৯ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫ টির, কমেছে ৮৯টি, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গ্রামীণ ফোন, ইস্টার্ন হাউজিং, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, বেক্সিমকো, ন্যাশনাল ব্যাংক, বিডিথাই, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা ও সিটি ব্যাংক।
দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে রহিমা ফুড, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, সাফকো স্পিনিং, এমবি ফার্মা, ইমামবাটন, জুট স্পিনিং, ন্যাশনাল পলিমার, পুরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স, ৫ম আইসিবি, সোনারগাঁও ইন্সুরেন্স।
অপরদিকে দাম কমার শীর্ষে রয়েছে মর্ডান ডাইং, ফার্মা এইডস, জেমিনি সীফুড, স্ট্যাইলক্রাফট, মুন্ন স্টাফলার্স, রেকিট বেনিকজার, আইসিবি ফাস্ট এনআরবি, বার্জার পেইন্টস ও ফার্স্ট বিএসআরএস ফান্ড।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপূজার ছুটির কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার ডিএসই সাধারণ সূচক ৩৭ দশমিক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ৭২৬ দশমিক ৮২ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ২৮৫ কোটি ২১ লাখ টাকার। ১১ সেপ্টেম্বরের পর এটিই সর্বনিু লেনদেন।
মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৫৩টির এবং বদলায়নি ১৭টির।
সোমবারের লেনেদেনে সাধারণ সূচক ১৩৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমেছিল। রোববার সপ্তাহের প্রথমদিনের লেনদেনে সাধারণ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে।
নানা উদ্যোগের পর গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন বাড়ে ডিএসইতে। গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই সাধারণ সূচক ২৫৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয় ৫ হাজার ৯১০ দশমিক ২০ পয়েন্ট।
তার আগের সপ্তাহে ডিএসই সাধারণ সূচক ৩১৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে হয়েছিল ৫ হাজার ৬৫২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার।
গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে এবং মার্জিন ঋণ নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে 'বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল' নামে একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
এ ছাড়া গত সপ্তাহে সংশোধিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতি নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
Subscribe to:
Posts (Atom)