ঢাকা, অক্টোবর ০৮
- প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)।
শনিবার সেগুনবাগিচার বীরোত্তম খাজা নাজিমুদ্দিন মিলনায়তনে দলটির সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, "প্রচলিত আইনের মধ্যেই অন্যায় ও অসঙ্গত প্রচার-প্রচারণা নিয়ন্ত্রণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে তাই নতুন নিয়ন্ত্রণমূলক আইনের কোনোই প্রয়োজন নেই।
"প্রস্তাবিত নীতিমালায় বলা হয়েছে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। এ ধরনের সম্প্রচার নীতি দেশের রাজনীতি বিকাশের অন্তরায়।"
"আবার বলা হচ্ছে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া যাবে না। এই যে 'বিভ্রান্তিকর তথ্য' এটা নির্ধারণ করবে কে?"প্রশ্ন রাখেন তিনি।
গণমাধ্যমের জন্য একটি সম্প্রচার নীতিমালা স¤প্রতি তৈরি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিতে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া আনলাইনে প্রকাশের সুপারিশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্র্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বও নীতিমালার প্রাথমিক খসড়া নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও অনলাইনে সবার মতামত নিয়েই এটি চূড়ান্ত করা হবে।
আপাতত কিছুদিনের জন্য সরকার নীতিমালা প্রণয়নের কাজ স্থগিত করলেও পুনরায় তা চালু করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে- এ কথা জানিয়ে কোরেশী বলেন, "এটা হলে আমরা সরাসরি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবো।"
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রশ্নে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অতীত ভূমিকা গৌরবোজ্জল নয় মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, "এক্ষেত্রে ১৯৭৪ সালে নিউজপ্রিন্ট কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স ও ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার সময় কয়েকটি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা ছাড়া দেশের সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি স্মরণ করা যেতে পারে।"
জনগণ ও জনমতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সংবাদপ্রত্রের স্বাধীনতা খর্ব হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
No comments:
Post a Comment