সাম্প্রতিক সময়ে তিতাস গ্যাস তাদের সিস্টেম লস শূন্যের কোঠায় দাবি করলেও শুধু কড়াইল বস্তিতেই মাসে গ্যাস চুরি হচ্ছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার। এতে ভর্তুকি মিলিয়ে সরকারের মাসিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭০ লাখ টাকা। সরকার গ্যাস সংকটের কথা বলে আবাসিক সংযোগ বন্ধ রাখলেও গুলশান থানার শুধু এ বস্তিতেই রয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার অবৈধ সংযোগ। প্রকাশ্যে এ অপরাধ ঘটলেও তিতাস বলছে, সন্ত্রাসের কারণে তারা সেখানে কিছুই করতে পারছে না। এ পর্যন্ত একাধিকবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও বস্তিবাসী আবার তা লাগিয়ে নিচ্ছে। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আয়োজন করে সংযোগ কাটলেও তিতাসের লোকজনই আবার রাতের আঁধারে সংযোগ লাগিয়ে দিয়ে আসছেন। আর এর মাধ্যমে পকেট ভারী করে নিচ্ছেন স্বয়ং তিতাসেরই অনেক কর্মকর্তা।
তিতাস কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১০ মাসে পাঁচবার ওই বস্তির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গত সর্বশেষ ঈদের আগে ১৭ আগস্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু আবারও সংযোগ লাগিয়ে নিয়েছেন তারা। গুলশান পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে ২৫ জানুয়ারি গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি ও ১৫ মে মামলা করা হলেও (নম্বর ৪১) কোনো লাভ হয়নি। পুলিশের সহযোগিতায়ই এসব অপরাধ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কয়েকজনকে ধরে আদালতেও পাঠিয়েছি। তবে কে কখন গ্যাস সংযোগ লাগায় তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আর কে গ্যাস কোম্পানির লোক, কে চোর তা তো আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়া কারিগরি বিষয়। গ্যাস কোম্পানির লোক ছাড়া সাধারণ মানুষের তা পারার কথা নয়। তাই তিতাস কর্তৃপক্ষকে নিজ দায়িত্বে পাহারা বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সূত্র জানায়, ওই বস্তিতে গ্যাস সংযোগের সঙ্গে তিতাসেরই একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এ কারণে বাইরে থেকে লোক-দেখানো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও স্থায়ীভাবে সংযোগ বন্ধ বা পাহারার ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে বছরের পর বছর গ্যাস চুরির মহোৎসব চলছেই। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (দক্ষিণ) প্রকৌশলী আসাবউদ্দীন জানান, অনেক কর্মকর্তা অভিযানে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই ওই এলাকায় যেতে চান না। সরেজমিনে কড়াইল বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, বস্তিতে প্রতি তিন-চার পরিবারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে একটি ডাবল বার্নার গ্যাসের চুলা। আবার বস্তির প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য রেখে বা ঘর ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে কোনো পরিবার একাই একটা চুলা ব্যবহার করছে। বস্তিতে বসবাসকারী চা বিক্রেতা তানিয়া বলেন, বড় ভাইদের সঙ্গে (স্থানীয় সন্ত্রাসী) খাতির রাখতে পারলে সব সুবিধা পাওয়া যায়। গ্যাস সংযোগ কাটার ব্যাপারে তানিয়া বলেন, 'যারা কাইটা দিয়া যায়, হেগো লোকই আবার আইসা লাগায় দিয়া যায়।' প্রায় দুই দশক আগে রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মহাখালীর মাঝে ১৭০ একর সরকারি জমির ওপর এক চিলতে উপশহরের মতো গড়ে ওঠা কড়াইল বস্তি রাজধানীর পোশাকশ্রমিক, দিনমজুর, গৃহকর্মী, রিকশাচালকসহ কায়িক শ্রমজীবীদের সবচেয়ে বৃহৎ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। সূত্র জানায়, বস্তিতে বসবাসকারী প্রায় ২৫ হাজার পরিবারে লোকসংখ্যা হবে দেড় লাখের মতো। বৈধ সংযোগ না থাকায় পুরো বস্তি চলছে অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুতে। প্রতি মাসে ঘর ভাড়া, অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে বস্তি থেকে আদায় হয় কোটি টাকা। এ ছাড়া চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি গ্রুপ এ টাকা সংগ্রহ করে তার ভাগ পাঠিয়ে দেয় পুলিশ, রাজনীতিবিদ থেকে মন্ত্রী-আমলাদের সিন্দুক পর্যন্ত। ভাগ যায় তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের পকেটেও। ফলে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক কড়াইল বস্তির অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এদিকে কড়াইল বস্তির গ্যাস সংযোগ আবার কাটার জন্য ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান বলেন, এবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর তিতাস থেকে পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।
তিতাস কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১০ মাসে পাঁচবার ওই বস্তির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গত সর্বশেষ ঈদের আগে ১৭ আগস্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু আবারও সংযোগ লাগিয়ে নিয়েছেন তারা। গুলশান পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে ২৫ জানুয়ারি গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি ও ১৫ মে মামলা করা হলেও (নম্বর ৪১) কোনো লাভ হয়নি। পুলিশের সহযোগিতায়ই এসব অপরাধ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কয়েকজনকে ধরে আদালতেও পাঠিয়েছি। তবে কে কখন গ্যাস সংযোগ লাগায় তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আর কে গ্যাস কোম্পানির লোক, কে চোর তা তো আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়া কারিগরি বিষয়। গ্যাস কোম্পানির লোক ছাড়া সাধারণ মানুষের তা পারার কথা নয়। তাই তিতাস কর্তৃপক্ষকে নিজ দায়িত্বে পাহারা বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সূত্র জানায়, ওই বস্তিতে গ্যাস সংযোগের সঙ্গে তিতাসেরই একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এ কারণে বাইরে থেকে লোক-দেখানো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও স্থায়ীভাবে সংযোগ বন্ধ বা পাহারার ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে বছরের পর বছর গ্যাস চুরির মহোৎসব চলছেই। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (দক্ষিণ) প্রকৌশলী আসাবউদ্দীন জানান, অনেক কর্মকর্তা অভিযানে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই ওই এলাকায় যেতে চান না। সরেজমিনে কড়াইল বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, বস্তিতে প্রতি তিন-চার পরিবারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে একটি ডাবল বার্নার গ্যাসের চুলা। আবার বস্তির প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য রেখে বা ঘর ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে কোনো পরিবার একাই একটা চুলা ব্যবহার করছে। বস্তিতে বসবাসকারী চা বিক্রেতা তানিয়া বলেন, বড় ভাইদের সঙ্গে (স্থানীয় সন্ত্রাসী) খাতির রাখতে পারলে সব সুবিধা পাওয়া যায়। গ্যাস সংযোগ কাটার ব্যাপারে তানিয়া বলেন, 'যারা কাইটা দিয়া যায়, হেগো লোকই আবার আইসা লাগায় দিয়া যায়।' প্রায় দুই দশক আগে রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মহাখালীর মাঝে ১৭০ একর সরকারি জমির ওপর এক চিলতে উপশহরের মতো গড়ে ওঠা কড়াইল বস্তি রাজধানীর পোশাকশ্রমিক, দিনমজুর, গৃহকর্মী, রিকশাচালকসহ কায়িক শ্রমজীবীদের সবচেয়ে বৃহৎ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। সূত্র জানায়, বস্তিতে বসবাসকারী প্রায় ২৫ হাজার পরিবারে লোকসংখ্যা হবে দেড় লাখের মতো। বৈধ সংযোগ না থাকায় পুরো বস্তি চলছে অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুতে। প্রতি মাসে ঘর ভাড়া, অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে বস্তি থেকে আদায় হয় কোটি টাকা। এ ছাড়া চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি গ্রুপ এ টাকা সংগ্রহ করে তার ভাগ পাঠিয়ে দেয় পুলিশ, রাজনীতিবিদ থেকে মন্ত্রী-আমলাদের সিন্দুক পর্যন্ত। ভাগ যায় তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের পকেটেও। ফলে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক কড়াইল বস্তির অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এদিকে কড়াইল বস্তির গ্যাস সংযোগ আবার কাটার জন্য ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান বলেন, এবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর তিতাস থেকে পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।
No comments:
Post a Comment