ঢাকা, অক্টোবর ০৮
- বিরোধী দল দাবি জানিয়ে এলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবির আড়ালে বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চাইছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আইন প্রতিমন্ত্রী শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বলেন, "পৃথিবীর সব দেশেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়। কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার নজির নেই। উচ্চ আদালত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। তাই এ নিয়ে আলোচনার আর কোনো সুযোগ নেই।"
'সম্মিলিত তরুণ পেশাজীবী পরিষদ' আয়োজিত 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট' শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর বর্তমান বিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, যা নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি থেকে সরে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার পরামর্শ দিতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কামরুল বলেন, "আগামী ফেব্র"য়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। সংসদে আসুন, কীভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করি।"
বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং গ্রেনেড হামলাকারীদের বাঁচাতেই বিরোধী দল রোড মার্চের কর্মসূচি দিয়েছে। কর্মসূচির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।"
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা তুলে ধরে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, "একে একে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে। প্রয়োজনে একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এ সরকারের আমলেই বিচার শেষ করা হবে।"
সভায় পটুয়াখালী-৩ আসনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ, আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন।
No comments:
Post a Comment