Fri, Oct 7th, 2011 1:59 pm BdST | Dial 2000 from your GP mobile for latest news |
তার দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কা থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সংবিধান পরিবর্তন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন শুক্রবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন, "তারা ২ বছর ৯ মাসে বুঝতে পেরেছে, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের অধিকাংশ স্থানে জামানতই থাকবে না। তাই তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জন্য একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করেছে।"
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর বর্তমান বিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, যা নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে।
মঈন খান বলেন, "আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে। তাদের এই স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।"
নির্বাাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের বক্তব্যকে 'পুরনো বোতলে নতুন মদ' বলে অভিহিত করেন সাবেক মন্ত্রী মঈন।
তিনি বলেন, "এটা সরকারের ধোঁকাবাজি চাল, জনগণ তা বুঝে গেছে। তারা (সরকার) কখনো দলীয় সরকার, কখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।"
জাতীয় প্রেসক্লারের সামনে 'ভারত ও মিয়ানমার কর্তৃক বাংলাদেশের ভূমি দখল, সীমান্তে নাগরিক হত্যা, অপহরণসহ সব আগ্রাসন'র প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেন মঈন।
সরকার দেশের স্বার্থ দেখছে না দাবি করে তিনি বলেন, "আমরা তিস্তার পানি পাইনি। কিন্তু এ সরকার ভারতকে করিডোর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে যে সব ট্রাক ও কনটেইনার যাবে, তাতে কী থাকবে, তা দেখার কোনো অধিকার বাংলাদেশের নেই।"
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডেরও নিন্দা জানান তিনি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, শামীমুর রহমান শামীম, আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment