সিলেট, অক্টোবর ০৮ - সিলেটে বেসরকারি একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের 'নিখোঁজ' চিকিৎসক ফিরেছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রশিদ আহমেদ নামে ওই চিকিৎসক নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট (সিএ)।
বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতাল থেকে দুই যুবক তুলে নিয়ে যায় বলে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, "রশিদ আজ টেলিফোন করে জানিয়েছে, সে ফিরেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়েছিলো বলে সে জানিয়েছে।"
ডা. রশিদকে কোন বাহিনী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেছেন, ডা. রশিদ এখন বিশ্রামে রয়েছেন। তিনি পরে কাজে যোগ দেবেন।
রশিদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
এদিকে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ভারতীয় দুই চিকিৎসক এবং দুই শিক্ষার্থী শনিবার দুপুর পর্যন্ত ফেরেনি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে বলে কলেজের অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া খবরে ওই চার ভারতীয়কে শিক্ষার্থী বলা হলেও পরে জানা যায়, তাদের দুজন শিক্ষানবীশ চিকিৎসক এবং অন্য দুজন ছাত্র।
চিকিৎসক দুজন হলেন- তোসাদ্দেক রশিদ ও আমির আমিন রেশমী। ছাত্ররা হলেন- তৌসিফ আহমদ ও দানেশ বাট।
তারা সবাই ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। দানেশ বাটকে নেওয়া হয় শুক্রবার দুপুরে।
অধ্যক্ষ নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বলেন, র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের এক দল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে তাদের নিয়ে যায়।
রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ কথা বললেও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোয়াহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।"
অবশ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, নয়া দিল্লি হাইকোর্টে বোমাহামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ইউনানী মেডিকেলে লেখাপড়া করা এক কাশ্মীরি যুবককে গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকতে পারে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের ফটকে বোমাহামলায় ১৫ জন নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন ওই হামলা চালায় বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
ভারতের দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার তাদের অনলাইন সংস্করণে জানায়, বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সে দেশের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (এনআইএ) গোয়েন্দারা ওয়াসিম আহমেদ নামের এক কাশ্মীরি এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ইউনানি চিকিৎসায় বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন।
ওয়াসিমকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এনআইএ কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। তবে তারা মনে করছেন, ওই হামলার পরিকল্পনায় জানতে ওয়াসিম একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।
No comments:
Post a Comment