চট্টগ্রাম, অক্টোবর ০৭
- ইলিশ ধরা বন্ধের প্রথম রাতে চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূল থেকে সাড়ে ২৮ হাজার কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুতুবদিয়া ও আনোয়ারা সংলগ্ন গভীর সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপকূলরক্ষী বাহিনী (কোস্টগার্ড) ও মৎস্য অধিদপ্তর এসব ইলিশ জব্দ করে। এ সময় ১২টি মাছ ধরার নৌকাও আটক করা হয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আগের দিন বরিশাল থেকে প্রায় ৪০ মণ ইলিশ আটক করে এতিম ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ইলিশ রক্ষায় বৃহস্পতিবার থেকে ১১ দিনের জন্য সারাদেশে ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কামান্ডার জসিম উজ জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কুতুবদিয়া চ্যানেল এবং আনোয়ারা সংলগ্ন সমুদ্র থেকে ওই সাড়ে ২৮ হাজার কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। এর মধ্যে কিছু এতিম খানায় দেওয়া হয়েছে। বাকি মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
তিনি জানান, রহমতপুর ও বাংলাবাজার ঘাট এলাকা থেকে ১০টি বিন্দি জাল এবং কক্সবাজারের কলাতলি ও হিমছড়ি এলাকা থেকে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক করা হয়েছে। এসব জালের দাম আনুমানিক সাত লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এদিকে শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো নগরীর ষোলশহরে কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালায় মৎস্য অধিদপ্তর। এ সময় ইলিশ বিক্রির অপরাধে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে একই অপরাধে চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা মৎস কর্মকর্তা প্রভাতী দে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রজনন মৌসুম হিসাব করে ১১ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ ও মজুদও নিষিদ্ধ।
এ আদেশ অমান্য করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং অভিযুক্তদের এক মাস থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে বলে জানান তিনি।
তবে দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে।
No comments:
Post a Comment