Saturday, October 8, 2011

৪৫ দিনে শেখ হাসিনাকে সাজা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল


আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা দুর্নীতি মামলা ৪৫ দিনের মধ্যে শেষ করে সাজা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানান।

২০০৭ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো তৎকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পাসি'র তারবার্তা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ৩০ আগস্ট উইকিলিকসে ফাঁস করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই লাখ গোপন নথির মধ্যে গীতা পাসির ওই তারবার্তাটিও রয়েছে।

তারবার্তায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি ও হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করে। এর পরদিনই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতার ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। জেনারেল আমিন এ সময় দূতাবাস কর্মকর্তাদের জানান, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যেই দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যেই মামলাটি নিষ্পত্তি করে সাজা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও অন্তত ২০টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে একসঙ্গে ১০-১২ ব্যক্তিকে হত্যার একটি মামলাও রয়েছে।

তারবার্তায় আরও বলা হয়, আমিন আরও জানান, সরকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছিল। এ ব্যাপারে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরেই ঘোষণা দেওয়া হতো। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে দেশ পরিচালনার জন্য ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদ পাওয়া যাবে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যায় সরকার। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্যান্য দলের নেতাদের মতো জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েননি বলেই তারা গ্রেফতারের আওতায় পড়েনি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, উদীয়মান নেতারা অদূর ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামীকে সহনশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলবে।

No comments:

Post a Comment