Sunday, October 9, 2011

ব্রাজিলের পথে আর্জেন্টিনার 'শুভযাত্রা'


গঞ্জালো হিগুয়েনের অসাধারণ হ্যাটট্রিকের খবরটি না থাকলে লিওনেল মেসিকে ঘিরেই হতে পারত আজকের আয়োজন। ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিলির বিপক্ষে আলবেসিলেস্তদের ৪-১ ব্যবধানের বিজয়ে হিগুয়েনের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি লিওনেল মেসিরও একটি গোল রয়েছে। আকাশি নীল-সাদা জার্সি গায়ে লিওনেল মেসি আট ম্যাচ পর গোল করলেন। ২০ জুন আলবেনিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেছিলেন মেসি। ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনার দুরন্ত সূচনার দিনে জয় পেয়েছে উরুগুয়ে, ইকুয়েডর এবং পেরুও।

চিলির আর্জেন্টাইন কোচ ক্লাউডিও আগেই ভয়ে ছিলেন। তবে সম্পূর্ণ অন্য দিক থেকে বাতাস বইতে শুরু করেছিল ম্যাচের প্রথম থেকেই। অষ্টম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের হিগুয়েন-ডি মারিয়া জুটি আলবেসিলেস্তদের প্রথম ব্যবধান এনে দেন। চিলিয়ানদের বিপদের শুরু এখানেই। এরপর লিওনেল মেসির স্বস্তিকর গোলটি আসে ২৬ মিনিটে। ৫২ ও ৬৩ মিনিটে হিগুয়েন গোল করে তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। 'আজ (শুক্রবার) আমরা যা করতে চেয়েছিলাম, তা-ই করতে পেরেছি।' নিজের হ্যাটট্রিক এবং দলের বড় বিজয়ের পর হিগুয়েন এমন কথা বলতেই পারেন। আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচটি বিজয়ের মাধ্যমে কোচ স্যাবেলা এবং অধিনায়ক মেসি জুটি অপরাজিতই থাকল। এ জুটি এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে। মাঝখানে অবশ্য দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে স্যাবেলা ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি ড্র এবং একটি পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। আর্জেন্টিনার জন্য চিলির বিপক্ষে দুরন্ত শুরুর খবরটি ভক্তদের কাছে আরও এক ধরনের তাৎপর্যও নিয়ে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এবারে প্রথম থেকেই নিজেদের আধিপত্য ঘোষণা করল আলবেসিলেস্তরা। সেইসঙ্গে অধিনায়ক লিওনেল মেসির কাছ থেকে ভক্তদের প্রত্যাশাও বেড়ে গেল। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা যা করেছিলেন আর্জেন্টিনার হয়ে তা কি পারবেন মেসি?

এদিতে কোপা আমেরিকা জয়ী উরুগুয়ে সুয়ারেজ এবং লুগানো জাদুতে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জয় পেয়েছে। চতুর্থ মিনিটেই প্রথম গোলটি করেন সুয়ারেজ। ২৬ ও ৭২ মিনিটে গোল করেন লুগানো। মাঝখানে কাভানি গোল করেন ৩৫ মিনিটে। বলিভিয়ার পক্ষে ১৮ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন কারদুজো। মার্টিনস ৮৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন পেনাল্টি শট থেকে। এ জয়ের ফলে ব্রাজিলের পথে উরুগুয়ের যাত্রাও শুভই হলো। ১৯৩০ ও ১৯৫০ সালের বিশ্বজয়ীরা গত বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনার মতোই শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়া নিশ্চিত করেছিল। এবারে তারাও ভিন্ন ইঙ্গিতই দিল। ইকুয়েডর ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ভেনেজুয়েলাকে। ইকুয়েডরের পক্ষে দুটি গোল করেছেন আইয়ুবি ও বেনিতেজ। অন্যদিকে পেরু গুয়েরেরোর ২ গোলে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের জয় পেয়েছে।

No comments:

Post a Comment